বিডি ঢাকা স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর চারঘাট অঞ্চলে এবার নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশীসহ নানা জাতের আম গাছে গাছে উঁকি দিচ্ছে মুকুল।
উপজেলার নিমপাড়া,ভায়ালক্ষিপুর, সারদা, শলুয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় এবার ৩ হাজার ৯শ ১০ হেক্টরজমিতে আম চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে দেশী,বারী-৪,বারী-১১,আম্রপালি,আশ্বিনা ও ল্যাংড়া জাতের উল্লেখযোগ্য। গাছে গাছে ফাল্গুনে মাসেই মুকুলের উকি আর মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ ছড়ানোতে আম বাগান এলাকায় ভিন্ন পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় কৃষক কুলেও ভিন্ন আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এবার ঘন কুয়াশা না থাকার কারণে মৌসুমের আগেই আমের গাছে মুকুল দেখা দিয়েছে।
উপজেলার নিমপাড়া, ভায়ালক্ষিপুর, সারদা, শলুয়াসহ বিভিন্ন এলাকার অনেক বাগানের আম গাছেই আগাম আমের মুকুল চোখে পড়ছে। এ কারণে কৃষকরা সতর্কতার সঙ্গে আম গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে কৃষি বিভাগ দাবি, এবার আবহাওয়া অনুকুল থাকলে আমের বাম্পার ফলন হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বছর আম চাষিরা অনেক আগে থেকে গাছের পরিচর্যা শুরু করেছেন। গাছে কীটনাশক, সারসহ পানি সেচ দেয়া হচ্ছে সময় মত। ফলে অনেক গাছেই আগাম জাতের মুকুলসহ বর্তমানে প্রায় গাছেই শোভা পাচ্ছে মুকুল। হয়তো ফাগুনের দু’সপ্তাহের মধ্যে চারঘাটের প্রতিটি আম বাগানের গাছে গাছে পুরোপুরি শোভা পাবে মুকুল। এরই মধ্যে গাছে গাছে ফুটে উঠেছে আমের মুকুল। তাই আশায় বুক বাঁধছে আম চাষিরা।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভায়ালক্ষিপুর এলাকার বিভিন্ন বাগানে গেলে বাগান মালিকদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান,মাঘের শুরুতে আম গাছের ডালে ডালে মুকুল ফুটতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা মুকুলের পরিচর্যা শুরু করেছেন। এখনফাল্গুন মাস। ফলে এ মাসের মধ্যেই সব গাছেই মুকুল ফুটবে বলে আশাকরছেন তারা।
আম চাষি সেলিম রেজা বলেন, গত বছর গাছে মুকুল আসলেও তা ধরে রাখতে পারেনি। তাই এবার আগে থেকে গাছে ভিটামিন গাছের গোড়ায় সার, পানি সেচ দিয়ে পরিচর্যা করে চলেছেন। যাতে করে আম আসার সময় মুকুলের গোড়া শক্ত হয়। তাই এবার তারা আশা করছেন আবাহাওয়া ভালো থাকলে আম বাগানের গাছে গাছে অনেক আম আসবে। এমন আশা প্রকাশ করছেন প্রায় সব চাষিরাই।
আম ব্যবসায়ী ও চাষি বাহাদুর রহমান বলেন, বর্তমানে আমের মুকুল যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য এন্টাকল, কনসিডর ও বেসিস নামের কিটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। যাতে করে হপার পোকার আক্রমন, পাতা কাটা রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
কৃষি কর্মর্কতারা বলছেন, অবাহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুকুলে রয়েছে। কৃষকরা নিজ নিজ আম বাগানের পরিচর্যা শুরু করেছেন। কিছু কিছু গাছে সবে মাত্র দেখা দিতে শুরু করেছে মুকুল মুখ। এখন গাছে সেচ বা বৃষ্টিরও খুব দরকার নেই বলেও মনে করছেন কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগ থেকে এবার আগে থেকে চাষিদের সচেতন করে তোলা হয়েছে। তারা সারা বছর ধরে সার সেচ, গাছের পরিচর্যা করে আসছেন।
এবিষয়ে চারঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন নাহার জানান, এবার মাঘ মাসে বিভিন্ন গাছে আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। মূলতঃ আবহাওয়া গত কারণে দেশীয় জাতের আম গাছে এই আগাম মুকুল আসতে শুরু করেছে। আবহওয়ার বিরুপ প্রভাব না পড়লে এবার বাম্পার ফলন হবে যা বর্তমান গাছে গাছে মুকুলের অবস্থা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।