অনলাইন নিউজ : আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ২৪ ব্যক্তির হাতে রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক তুলে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সকাল ১০টায় এ পদক প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
এতে গণভবন থেকে যুক্ত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানস্থলে তার প্রতিনিধি পদকপ্রাপ্তদের সম্মাননা তুলে দেবেন। সাধারণত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশরীরে উপস্থিত হয়ে পদকপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছরের মতো এবারও তা হচ্ছে না।
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে সরকার ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই সম্মাননা দিয়ে আসছে। এ বছর জাতীয় ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য ২৪ ব্যক্তিকে একুশে পদক দিচ্ছে সরকার। এদের মধ্যে ভাষা আন্দোলনে দুজন, মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে চারজন, শিল্পকলায় সাতজন, গবেষণায় চারজন, ভাষা ও সাহিত্যে দুজন, সমাজসেবায় দুজন, সাংবাদিকতা, শিক্ষা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে একজন করে একুশে পদক পেয়েছেন।
ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য এ বছর মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন মোস্তফা এমএ মতিন ও মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল। মুক্তিযুদ্ধে অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী (মরণোত্তর), কিউএবিএম রহমান ও আমজাদ আলী খন্দকার পদক পেয়েছেন। শিল্পকলায় পেয়েছেন নৃত্যে জিনাত বরকতউল্লাহ। সঙ্গীতে পেয়েছেন নজরুল ইসলাম বাবু (মরণোত্তর), ইকবাল আহমেদ ও মাহমুদুর রহমান বেনু। অভিনয়ে পেয়েছেন খালেদ মাহমুদ খান (মরণোত্তর), আফজাল হোসেন ও মাসুম আজিজ। সাংবাদিকতায় পদক পেয়েছেন এমএ মালেক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মো. আনোয়ার হোসেন এবং শিক্ষায় অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। সমাজসেবায় এসএম আব্রাহাম লিংকন ও সংঘরাজ জ্ঞানশ্রী মহাথের। ভাষা ও সাহিত্যে কবি কামাল চৌধুরী ও ঝর্না দাশ পুরকায়স্থ। দলগতভাবে গবেষণায় এ বছর একুশে পদক পেয়েছেন ড. মো. আবদুস সাত্তার মণ্ডল, ড. মো. এনামুল হক, ড. সাহানাজ সুলতানা ও ড. জান্নাতুল ফেরদৌস।