অনলাইন নিউজ : দেশে করোনায় মৃত্যু্র সংখ্যা বেড়েই চলছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ৫৮৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৩১ জনে। এছাড়া মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ২৯ হাজার ১৫৪ জনে পৌঁছেছে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। আগের দিন (বৃহস্পতিবার) ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে; শনাক্ত হয়েছিলেন ৩ হাজার ৫৩৯ জন। তার আগের দিন (বুধবার) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। শনাক্ত হয়েছিলেন ৩ হাজার ৯২৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৭৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ০৯.৩১ শতাংশ। বৃহস্পতিবার শনাক্তের হার ছিল ১০.২৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ২৯ হাজার ১৫৪ জন। মোট শনাক্তের হার ১৪.৬৬ শতাংশ।
গত এক দিনে মারা যাওয়া ২৪ জনের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ এবং ৭ জন নারী। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩ জন, রাজশাহী বিভাগের ২ জন, খুলনা বিভাগের ১ জন, সিলেট বিভাগের ৩ জন ও রংপুর বিভাগের ১ জন। বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে গত এক দিনে কেউ মারা যায়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৯৮৮ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৭ লাখ ৩৭ হাজার ৮৫৪ জন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছরের জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়। এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।
২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রন ঝড়। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৬ জানুয়ারি তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর থেকে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে।
এ জাতীয় আরো খবর..