বিডি ঢাকা অনলাইন ডেস্ক: ব্যাটারিচালিত রিকশা-অটোরিকশাগুলো থেকে জ্বালানিচালিত যানবাহনের মত কাল ধোয়া বের হয় না। এতে বাতাসের মান ভাল থাকে। কিন্তু রিকশা-অটোরিকশাগুলোর ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার জন্য চাপ পড়ছে বিদ্যুতের ওপর। এ কারণে রাজশাহী শহরে সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমেই রিকশা-অটোরিকশার ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা করার চিন্তা করা হচ্ছে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের দিক-নির্দেশনায় সোলশেয়ার ও বেটার টুমোরো ভেঞ্চার নামে দুটি সংস্থার সহযোগিতায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটি) এই প্রথম রাজশাহীতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির একটি যুগোপযোগী পাইলট প্রকল্পও হাতে নিয়েছে। বিএটি বাংলাদেশ রাজশাহী শহরের কাঁঠালবাড়িয়া এলাকার একটি অটোরিকশার গ্যারেজের ছাদে সোলশেয়ারের মাধ্যমে ১ হাজার ৩৫০ স্কয়ার ফুট সৌর প্যানেল স্থাপন করেছে।
এই প্যানেলের মাধ্যমে দিনভর সৌরশক্তি ব্যবহার করে উৎপাদিত বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। এখানে রাতের বেলা জাতীয় গ্রিড থেকে ব্যাটারী চালিত যান পুনরায় চার্জ গ্রহণ করে থাকে। এ পুরো প্রক্রিয়াটি নেট মিটারিং সিস্টেমে সম্পন্ন হয়। এই চার্জিং স্টেশনে স্মার্ট চার্জার স্থাপন করা হয়েছে, যা ব্যাটারী সক্ষমতা ও স্থায়ীত্ব বাড়িয়ে তুলবে। এই প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে বিদ্যুতের জন্য জাতীয় গ্রিডের ওপর নির্ভরশলীলতা কমবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নগর ভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই পাইলট প্রকল্পের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় তিনি বলেন, যুগোপযোগী নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তি সমাধান প্রকল্পের এ কার্যক্রম শুধু অটোচার্জার নয়; বাড়িতে বাড়িতে এটি হতে পারে।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্যানেল মেয়র-১ সরিফুল ইসলাম বাবু, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনীম, সোলশেয়ার লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেবাস্টিয়ান। অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক পারভেজ আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।
তাঁরা বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির ব্যবহার এবং প্রসার হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার অন্যতম হাতিয়ার। বাংলাদেশ সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির উপর নির্ভরতা নিশ্চিত করতে হবে। এই লক্ষ্যে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন।
তাঁরা আরও জানান, একমাস আগে শহরের কাঁঠালবাড়িয়া এলাকায় ওই সৌর প্যানেল বসানোর কাজ শুরু হয়। সপ্তাহখানেক ধরে সেখানে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। ঠিক কী পরিমাণ সৌরবিদ্যুৎ এখন উৎপাদন হচ্ছে সেই হিসাব এখনও হয়নি। এই প্রকল্পটি সফল হলে শহরের আরও ব্যাপক পরিসরে এ ধরনের প্লান্ট স্থাপন করা হবে।