বিনোদন নিউজ : পর পর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) কার্যকরী পরিষদের ১০ জন সদস্যের পদ বাতিল করা হয়েছে। সংগঠনটির পরিচালনা নীতিমালা ৭-এর ১৫ ধারা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সংগঠনটির কার্যনির্বাহী পরিষদের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বাচসাস পরিচালন নীতিমালা অনুযায়ী বাতিল হওয়া ১০ জন সদস্যের পরিবর্তে স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে নতুন ১০ সদস্যকে।
কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে বাতিল হওয়া ১০ জন হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি বাদল আহমেদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক রাহাত সাইফুল, আন্তর্জাতিক ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু সুফিয়ান রতন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুজাহিদ সামিউল্লাহ, নির্বাহী কমিটির সদস্য লিটন এরশাদ, অঞ্জন রহমান, ইরানি বিশ্বাস ও লিটন রহমান।
আর নতুন ১০ জন সদস্য স্থলাভিষিক্ত হওয়াসহ বাচসাস-এর বর্তমান কমিটিতে যে ২১ জন আছেন তারা হলেন- সভাপতি ফাল্গুনী হামিদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবিদা নাসরিন কলি, সহ-সভাপতি সৈকত সালাহ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু, সহ-সাধারণ সম্পাদক তুষার আদিত্য, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, অর্থ সম্পাদক মঈন আব্দুল্লাহ, আন্তর্জাতিক ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদ মানজুর, সমাজ কল্যাণ ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শ্রাবণী রাখি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক লিমন আহমেদ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মীর সামি, দফতর সম্পাদক নিপু বড়ুয়া।
এছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য পদে আছেন ইব্রাহিম খলিল খোকন, অঞ্জন দাশ, আলাউদ্দিন মজিদ, আব্দুল্লাহ জেয়াদ, শফিক আল মামুন, এম এস রানা, দাউদ হোসাইন রনি, জনি হক ও ইসরাফিল শাহিন।
সংগঠনটির দফতর সম্পাদক নিপু বড়ুয়া বলেন, ‘বাচসাস পরিচালনা নীতিমালা ৭-এর ১৫ ধারায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে, নির্বাহী পরিষদের কোনও সদস্য যদি পূর্বানুমতি গ্রহণ কিংবা যুক্তিযুক্ত কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে পর পর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে তার নির্বাহী পরিষদের পদ বাতিল বলে গণ্য হবে। মূলত সেই আলোকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
জানা যায়, নীতিমালার ৭ অধ্যায়ের ৮ ধারায় বলায় আছে, শূন্যপদ পূরণের ক্ষমতা নির্বাহী পরিষদের থাকবে। সেই হিসেবেই গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বাচসাসের কার্যকরী পরিষদের সভায় সর্বসম্মতিতে নতুন ১০ জনকে কার্যকরী পরিষদে যোগ করা হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির বর্তমান কমিটি ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাদীর আবেদনে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে বাচসাসের নির্বাচন কার্যক্রম বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি অথবা আদালতের রায় পাওয়ার পরপরই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।
সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু বলেন, ‘এসব বিষয় নিয়ে বাচসাসের কতিপয় সদস্য মিথ্যা তথ্য প্রদান করে অনেক সদস্যকে ভুল বুঝিয়ে কিছু অপচেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে সংগঠনবিরোধী কার্যক্রমে অংশ নেওয়ায় কয়েকজনের সদস্যপদ বাতিল হয়েছে। তারপরও আমরা দেখছি তাদের যোগসাজশে কয়েকজন সদস্য নানারকম বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। এ বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাধারণ সদস্যদের কোনও উসকানি বা গুজবে কান না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’
বাচসাস ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। জন্মলগ্নে এর নাম ছিল ‘পাকিস্তান চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি’। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নাম পরিবর্তন করে হয় ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি’, সংক্ষেপে ‘বাচসাস’।
এ জাতীয় আরো খবর..