শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: করোনা পরিস্থিতি যেহেতু কমেছে, পাসপোর্টধারী যাত্রীদের জন্য শিগগিরই ভারতের ইমিগ্রেশন খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। একই সঙ্গে সোনামসজিদ জিরো পয়েন্ট এলাকায় পণ্যভর্তি ট্রাক প্রবেশ ও ফেরত যাবার ক্ষেত্রে দুই লেনে উন্নতিকরণে যথাযথ উদ্যোগে নেয়া হবে। রোববার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সোনামসজিদ আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল ও সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাটি। এ সময় সোনামসজিদ আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপ সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান রাজু বলেন, সূর্যদয় থেকে সূর্যাস্থ পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলার কথা থাকলেও সোনামসজিদ বন্দরে তা মানা হচ্ছে না। এতে করে কাঙ্খিত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। মহদিপুর বন্দরে বিএসএফ চেকপোস্ট পেছনে সরিয়ে মূল ফটকটি প্রশস্থ করা হলে দুই দেশের আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে আরও গতিশীলতা আসবে। মহিদপুর প্রাপ্তে স্টাফ কোয়ার্টার স্থাপন করা হলে সূর্যদয় থেকে সূর্যাস্থ পর্যন্ত সেবা দিতে পারবেন। ফলে বৃদ্ধি পাবে আমদানি-রপ্তানি। এছাড়া পাথরবোঝাই ভারতীয় ট্রাক ডাম্পিং ছাড়া সরাসরি দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে পাথরের গুণগত মান সঠিক পাওয়া যাবে। এদিকে বাংলাদেশী পণ্য ভারতে রপ্তানির ক্ষেত্রে বিশেষ নিরাপত্তার জন্য একটি নিদিষ্ট পার্কিং জোন স্থাপনের দাবি জানান। তাছাড়া ফিটনেস বিহীন গাড়ি চলাচল করায় অনেক সময় দূর্ঘটনাসহ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এসব সমস্যা ও দাবি আদায়ে ভারতীয় হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সোনামসজিদ আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম সেন্টু। পরে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। এতে উপস্থিত ছিলেন সোনামসজিদ সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন অর রশিদ এবং ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদসহ অন্যরা। শেষে ছোট সোনামসজিদের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন তিনি।