অনলাইন নিউজ : আগামীকাল মহান বিজয় দিবস। বাঙালির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। জাতির গৌরব আর অহংকারের এ দিনটি উদযাপন উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। দিবসটি পালনের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এরই মধ্যে এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি স্থানীয়দের তথ্য চেয়ে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
দিবসটির প্রথম প্রহরে জাতির বীর সন্তানদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, কূটনৈতিকসহ বিশিষ্টজনেরা। এরপরই সৌধ প্রাঙ্গণে ঢল নামবে লাখো মানুষের। তাদের হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার ফুলে ফুলে ভরে উঠবে শহীদ বেদী।
দেশের জন্য শহীদ হওয়া সূর্য সন্তানদের বাঙালি জাতি শ্রদ্ধা জানাবে এ জন্য গত ১ মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গন ধুয়ে-মুছে, রং তুলির আচরে রং দিয়ে, গাছে গাছে ও স্থাপনাগুলোতে আলোকসজ্জা লাগিয়েছে গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
শুধু তাই নয় নিরাপত্তার দিক থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিচ্ছিন্দ্র নিরাপত্তা দিচ্ছে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে গত তিনদিন জাতীয় স্মৃতিসৌধের দ্বায়িত্ব নিজেদের কাছে নিয়েছে দেশের সর্বচ্চো নিরাপত্তার ব্যবস্থার এই বাহিনীটি। এ কারণে কাউকেই স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় স্মৃতিসৌধ গিয়ে দেখা গেছে, নতুন ফুলের গাছ রোপন করা হয়েছে, পানির ফুয়ারা চলছে, মশা নিধনের জন্য ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সাদা পোশাকেও নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছে।
সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, দিবসটি উপলক্ষে প্রায় শতাধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী গত একমাস যাবৎ নিরলসভাবে কাজ করেছেন। আর সৌধ এলাকার পরিচ্ছন্নতা কাজে যাতে বিঘ্ন না হয় সেজন্য সাধারণ দর্শণার্থীদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পরই সর্বসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ ফটক উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..