অনলাইন নিউজ : বিদ্রোহ ও বিদ্রোহের প্ররোচনায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ‘আনসার ব্যাটালিয়ন আইন, ২০২২’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বাহিনীর সদস্যরা অপরাধ করলে দুটি আদালতে বিচার হবে। একটি সংক্ষিপ্ত আনসার ব্যাটালিয়ান আদালত, আরেকটি বিশেষ আনসার ব্যাটালিয়ান আদালত। সাধারণ অপরাধের বিচার হবে সংক্ষিপ্ত আনসার ব্যাটালিয়ান আদালতে। এসব অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। আর শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অপরাধ বা বিদ্রোহের বিচার হবে বিশেষ আনসার আদালতে। এ আদালত সংঘটিত অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন বা ন্যুনতম ৫ বছরের জেল দিতে পারবে। এ দুই আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য একটি আপিল ট্রাইব্যুনাল থাকবে বলেও জানান তিনি।
মহাপরিচালক সরকারের অনুমোদনক্রমে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অন্যান্য পরিচালক মর্যাদার তিনজন কর্মকর্তার সমন্বয়ে সংক্ষিপ্ত আনসার কোর্ট করবে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা মাইনর অফেন্সের জন্য। আর সরকার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একজন, আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের একজন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন কর্মকর্তার সমন্বয়ে বিশেষ আনসার আদালত করবে। এটা গুরুতর অপরাধের জন্য।তিনি বলেন, ১৯৯৫ সালে একটা আনসার ব্যাটালিয়ান আইন ছিল। বর্তমান প্রয়োজনে সে আইনটি যখন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়, তখন দেখা গেল অনেক বেশি পরিবর্তন করতে হয়। সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেয় এটা আর পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই, নতুন করে আনসার ব্যাটালিয়ান আইন-২০২২ প্রণয়ন করার। এখানে কতগুলো বিষয় রাখা হয়েছে, যেমন মহাপরিচালক থাকবেন, সরকারের নিয়ন্ত্রণে ব্যাটালিয়ন পরিচালনা করবেন। মহাপরিচালক আইনের বিধি প্রবিধি এবং সরকারের নির্দেশনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আদেশ জারি করবেন। সরকার এর সাংগঠনিক কাঠামো ও পদ নির্ধারণ করে দেবে। নিয়োগ ও চাকরির শর্তও নির্ধারণ করে দেবে।ব্যাটালিয়ানের কোনো সদস্য রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক কোনো সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বা কোনো সংবাদ পত্র বা কোথাও তথ্য প্রকাশ করতে পারবেন না। আমাদের ডিসিপ্লিনারি আপিল বা অসদাচারণের জন্য যেমন দু’ ধরনের দণ্ড আছে- লঘুদণ্ড ও গুরুদণ্ড তাদের ক্ষেত্রেও সেটা হবে। বিভাগীয় মামলায় গুরুদণ্ডের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগীয় সচিবের কাছে এবং লঘুদণ্ডের বিরুদ্ধে মহাপরিচালকের কাছে আপিল করা যাবে।