সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার রোধে সব পক্ষেরই সচেতনতা দরকার : আলোচনা সভায় অভিমত ক্ষতিপূরণ দাবি বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ ৫৯৫ টাকা কেজি দরে দিনে ১ কোটি টাকার গরুর মাংস বিক্রি করেন খলিল ঢাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পল্লী বিদ্যুতের ৭ জন বরখাস্ত ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের কর্মসূচি স্থগিত ন্যাশনাল মেডিকেল, সোহরাওয়ার্দী ও নজরুল কলেজে হামলা- ভাঙচুর, পরীক্ষা স্থগিত বরাদ্দের মধ্যেই দিবস পালন করতে হবে : জেলা প্রশাসক চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় আবদুল ওয়াহেদ নেতৃত্বাধীন প্যানেলের

তানোরে স্থানীয় বহিরাগত-ইস্যু ধোপে টিকছে না

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১০১২ বার পঠিত

 আলিফ হোসেন, তানোর : রাজশাহীর তানোর পৌরসভা নির্বাচন এখন এমপি তথা নৌকা বিরোধীদের বাঁচা- মরার লড়াইয়ে পরিনত হয়েছে। এদিকে নৌকা বিরোধীরা স্থানীয় ও বহিরাগত ইস্যুতে আবুল বাসার সুজনকে বেকায়দায় ফেলতে মাঠ গরমের চেস্টা করেও বার বার বার্থ হচ্ছে এই ভুয়া ইস্যু ধোপে টিকছে না। পৌরবাসী বলছে, জুজুর ভয় দেখিয়ে আর কতদিন পৌরসভা সৃস্টির পর থেকে তো দেখেই আসছি, একবার পরিবর্তন করে দেখি না কি হয়। আর রাজনীতিতে স্থানীয়-বহিরাগত বলে কিছু নাই। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মহামান্য রাস্ট্রপতি ও বিএনপি চেয়ারপার্সন কি ঢাকার বাসিন্দা-? তাহলে তানোর পৌরসভায় সুজন বহিরাগত হয় কি ভাবে-? জানা গেছে, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের বিপদগামী সাবেক এক নেতার নেপথ্যে মদদে একটি চক্রব্যুহ সিন্ডিেকট গড়ে তোলা হয়। এরা হাট-ঘাট, বালু মহাল ও গভীর নলকুপে চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজী, নিয়োগ বাণিজ্যে, সাংগঠনিক পদ বাণিজ্যে ইত্যাদির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করে বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছে, তাদের এসব বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে সংগঠনের সর্বনাশ হয়েছে। কিন্ত স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী এসব বুঝতে পেরে তাদের লাগাম টেনে ধরেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে নীতিনৈতিকতা ও আদর্শ বিসর্জন দিয়ে এরা এমপি কেন্দ্রিক রাজনীতিতে এমপির বিরোধীতার নামে জাতীয় সংসদ, জেলা পরিষদ, উপজেলা,পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান ও পৃথক বলয় সৃস্টির নামে দলীয়কোন্দল সৃস্টি করে তারা মুলধারার রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়েছে। অন্যদিকে এদের রাজনৈতিক বেঈমান ও মিরজাফর আঙ্খা দিয়ে তৃণমুল তাদের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এতে গোদাগাড়ীর মাটিতে তাদের রাজনীতি করার দিন শেষ হয়েছে অনেক আগেই, এখন তানোর ও মুন্ডুমালা পৌরসভায় যদি এমপি তথা আওয়ামী লীগের আদর্শিক নেতৃত্বের বিজয় ঘটে তাহলে তানোরের মাটিতেও তাদের রাজনীতির অধ্যায় শেষ। আর এসব আতঙ্ক থেকেই তারা এমপি বা নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার শুরু করেছে। আর প্রথমেই তারা আবুল বাসার সুজনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে মাঠে নেমেই তারা কখানো সুজনকে বহিরাগত,কখানো হাইব্রিড ইত্যাদি অপবাদ দিয়ে মিথ্যাচার করছে,তবে রাজনীতিতে বহিরাগত বলে কোনো শব্দ নাই।তাদের আশঙ্কা সুজন বিজয়ী হলে তাদের তানোরের মাটিতে দাঁড়ানোর স্থান থাকবে না।সেই আশঙ্কা থেকেই মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী (সম্ভাব্য) প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী ও বিশিস্ট সমাজ সেবক আবুল বাসার সুজনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে।এতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ পৌরবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। জানা গেছে, প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী, বিশিস্ট সমাজ সেবক এবং পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন আদর্শিক ও তরুণ নেতৃত্ব আবুল বাসার সুজন করোনা দুর্যোগে খাদ্য সহায়তা বিতরণ, এলাকার উন্নয়ন ও আর্থিক অনুদান প্রদানসহ, প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগের মাধ্যমে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরী করে আলোচনায় উঠে এসেছে। পৌরবাসির অভিমত, সাধারণ মানুষ এবং ভোটারদের মধ্যে আলোচনা ও পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছে আবুল বাসার সুজন। তারা বলেন, মেয়র নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীর রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক পরিচিতি, আর্থিক স্বচ্ছলতা, ব্যক্তি ইমেজ, উন্নয়ন মানসিকতা, গ্রহণযোগ্যতা ও নেতৃত্বগুন ইত্যাদি প্রয়োজন সুজন সেই সব গুনের অধিকারী সম্পন্ন একমাত্র প্রার্থী। এসব বিবেচনায় নির্বাচনের মাঠে জনপ্রিয়তায় সুজন অন্যদের থেকে যোজন যোজন দুরুত্বে এগিয়ে রয়েছে নৌকার প্রার্থী হলে সুজনের বিজয় প্রায় নিশ্চিত। এদিকে এমপিবিরোধী শিবির হিসেবে পরিচিত কথিত সেভেন স্টার সুজনকে ঠেকাতে ও জামায়াত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নে তাদের বি-টিম হয়ে মাঠে নেমে বহিরাগত-হাইব্রিড ইত্যাদি নানা ভাবে সুজনের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথাচার করেই চলেছে। এমনকি সুজন নৌকার প্রার্থী হলে তার বিরুদ্ধে ডামি প্রার্থী দেয়াসহ তার বিজয় ঠেকাতে জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করে তারা সুজনের পরাজয় নিশ্চিত করতে চাই। কারণ তাদের আশঙ্কা সুজন বিজয়ী হলে তানোরের মাটিতে তাদের বেঈমানির রাজনীতি শেষ, ওদিকে গোদাগাড়ীর মাটিতে অনেক আগেই তারা নিষিদ্ধ হয়েছে, এখন তানোরের মাটিতেও নিষিদ্ধ হলে তাদের কি হবে সেই আশঙ্কায় তারা দিশেহারা ও মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে, হারিয়েছে রাজনীতি করার মনোবল। ফলে এরা হিতাহিত গ্যাণ হারিয়ে এমপি বিরোধীতার নামে আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করে একের পর এক ভূল করে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে সুজনের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যাচার করায় জনমনে চরম অসন্তোষ সৃস্টি হয়েছে। তৃণমুল মানুষের ভাষ্য, যেভাবে হোক আর যে কারনেই হোক সুজনের মাধ্যমে প্রতিদিন কিছু মানুষতো উপকৃত হচ্ছে, তাহলে তার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যাচার করা হচ্ছে কার স্বার্থে। আর সুজন তো কখানো তাঁর জন্য ভোট চাইনি তিনি সব সময় বলেছেন উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে পৌরসভার উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে আগামিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনিত নৌকা প্রতিকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। তবে সুজন নির্বাচনের ইচ্ছে প্রকাশ করে মাঠে নেমেছেন দল মনোনয়ন দিলে তিনি ভোট করবেন, না দিলে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন নেতাকর্মীদেরও কাজ করাবেন। জানা গেছে,তানোর পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর শুধুমাত্র দুর্বল প্রার্থীর কারণে এখন পর্যন্ত্য মেয়র পদে আওয়ামী লীগের কেউ বিজয়ী হতে পারেনি। তবে এবার সুজনকে দিয়ে তারা সেই দুঃখ ঘোচাতে চাই। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণের অভিমত তানোর পৌরসভা সৃস্টির পর এবারই প্রথম উচ্চ বিত্তশীল ও সমৃদ্ধ পরিবার থেকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, আর্দশিক, তরুণ ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন প্রার্থী দিতে চলেছে আওয়ামী লীগ। সবাই এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।তানোর পৌরসভার ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দলই এর আগে সুজনের মতো যোগ্য প্রার্থী দিতে পারেনি। তানোর পৌরসভার মতো জায়গা থেকে সুজনদের নেবার কিছু নাই,তবে দেবার অনেক কিছুই আছে ইতমধ্যে তিনি তার কাজের মধ্য দিয়ে সেটার প্রমাণ দিতেও সক্ষম হয়েছেন। এখন প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে সুজন মেয়র নির্বাচন করতে চাই কেন ? কারন মানুষের জন্য ভাল কিছু করতে গেলে একটা জায়গা বা চেয়ার প্রয়োজন সেই জায়গা করতেই সুজনের নির্বাচনে আশা। এর বাইরে অন্যকিছু নাই। সুজনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও অবস্থানের সঙ্গে অন্যদের অবস্থান বিশ্লেষণ করলেই বিষয়টি সকলের কাছে পরিস্কার হয়ে যাবে এর জন্য রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ হবার প্রয়োজন নাই। সুজন মেয়র নির্বাচিত হয়ে তানোরের মানুষের জন্য ইতিবাচক এমন কিছু করে যেতে চাই যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে দৃস্টান্ত হয়ে থাকবে। স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, এসব বিবেচনায় সুজনকে নৌকা প্রতিক দেয়া হলে তার বিজয় প্রায় নিশ্চিত। পৌরসভার মধ্যান্চল থেকে তিনিই একমাত্র প্রার্থী ফলে নির্বাচনের মাঠে অন্যদের থেকে তার সুবিধাও অনেক বেশী, সকলেই তাকে আগামির মেয়র বলে বিবেচনা করছে। এসব বিবেচনায় সুজন আগামিতে মেয়র হচ্ছে এমনটাই মনে করছে পৌরবাসী

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com