বিনোদন নিউজ : মিশা সওদাগর। চলচ্চিত্রের পর্দায় মন্দ মানুষের চরিত্রে তাকে দেখা যায়। পর্দায় তার স্বভাব-চরিত্রদেখলে যে কেউ বলবে জগতের সবচেয়ে খা’রাপ মানুষ। পর্দায় নায়ক-নায়িকাদের প্রে’মে সবসময় বাগড়া, নায়িকার দিকে কু-দৃষ্টি কিংবা প্রে’মে পড়ে থাকেন এবং কখনও সফল হতে পারেন না।কিন্তু বাস্তব জীবনে সর্ম্পূণ উল্টো এই খল অ’ভিনেতা। বাস্তব জীবনে মিশা সওদাগর একজন প্রে’মিক পুরুষ ও রোমান্টিক স্বামী।
টানা ১০ বছর চুটিয়ে প্রে’ম করে প্রে’মিকা মিতাকে বিয়ে করেন। স্ত্রী’ মিতার প্রতি মিশার ভালোবাসার দারুণ একটি প্রমাণ মেলে ‘মিশা’ নামটিতে।চলচ্চিত্রে অ’ভিনয়ের সময়ে স্ত্রী’র নামের প্রথম অক্ষর ‘মি’ আর নিজের শাহিদ নামের ‘শা’ দিয়ে নাম রাখেন মিশা। সে নামেই তিনি দর্শক মহলে প্রতিষ্ঠিত।
এ প্রসঙ্গে মিশা সওদাগর বলেন, ‘আজ সবাই আমাকে মিশা সওদাগর নামেই চিনেন। কিন্তু আমা’র আসল নাম শাহিদ হাসান।মিশা নামের পেছনে আমা’র স্ত্রী’র ভূমিকা রয়েছে। কাজের ক্ষেত্রে সে সবসময় আমাকে সাপোর্ট দিয়েছে। তার সাপোর্ট না পেলে আজ হয়তো মিশা হয়ে উঠতে পারতাম না।’
মিশা সওদাগর যখন এসএসসি পরীক্ষার্থী তখন মিতা নবম শ্রেণীতে পড়েন। ঠিক সে সময়ই তাদের প্রে’মের শুরু। এ প্রসঙ্গে মিশা সওদাগর বলেন, ‘মিতা আমা’র নিকট আত্মীয়। যে কারণে আমাদের বাসায় তাদের আসা যাওয়া ছিল। মিতা অনেক মেধাবী। এই বিষয়টা আমাকে খুব আকৃষ্ট করে। পরস্পরের প্রতি ভালোলাগা থেকেই মূলত আমাদের প্রে’মের শুরু। মিতাই প্রথম প্রে’মের চিঠি দিয়েছিল। যদিও এটা ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকত। তার আগেই আমাদের প্রে’ম শুরু হয়ে যায়।’
মিশা-মিতার প্রে’ম সহ’জ ছিল না। তাদের প্রে’মেও কাঁ’টা ছিল। এ প্রসঙ্গে মিশা সওদাগর বলেন, ‘প্রে’ম করতে গিয়ে অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। কিন্তু তারপরও দুজন দুজনকে ছাড়িনি। একবার এক ছে’লের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে তাকে বিদেশে পাঠাতে চেয়েছিল, তখন আম’রা বিয়ে করি।’
মিশা-মিতা দম্পতির সামনে ২৯তম বিবাহবার্ষিকী’। ১৯৯৩ সালের ৬ ডিসেম্বর ভালোবেসে বিয়ে করেন তারা। বর্তমানে এই দম্পতির দুই সন্তান। তবে বিবাহবার্ষিকী’ উপলক্ষে তেমন কোনো আয়োজন থাকবেনা না তাদের পরিবারে। তারা এখন আ’মেরিকায় অবস্থান করছেন। প্রায় সাড়ে আট শতাধিক সিনেমা’র এই অ’ভিনেতা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সভাপতি।