বাজেটকে সামনে রেখে প্রতিবছরই বিভিন্ন মহল থেকে নানা সুপারিশ পরামর্শ দেয়ার রীতি প্রচলিত আছে। এটি ইতিবাচক বিষয়। কারণ এর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাজনঅংশগ্রহণমূলক হয়ে ওঠে এবং গণতন্ত্রের ভিতও শক্তিশালী হয়। এ ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে
উদ্যোক্তা পত্রিকার সার্বিক তত্ত¡াবধানে ধারাবাহিকভাবে বাজেট নিয়ে আলোচনার উদ্যোগগ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে দেশের অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ, শিল্পোদ্যোক্তা ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন
অ্যাসোসিয়েশন, চেম্বার গ্রæপ ও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট বিজ্ঞ ব্যক্তিগণ অংশগ্রহণকরেন। সাধারণ নাগরিক বা ভোক্তা সকলেই চায় যে, এমন একটি বাজেট প্রণীত হোক, যার লক্ষ্য
হবে জনগণের কল্যাণ দারিদ্র্য দূরীকরণ ও দুঃখ-দুর্দশা নিরসন। একটি বাজেট বিবেচিত হয়
সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের দলিল বা বার্ষিক দলিল হিসেবে। একটি সরকার তার নির্বাচনীঅঙ্গীকারে যে সব প্রতিশ্রæতি দিয়ে থাকে, সে-সরকার প্রণীত বাজেটে মানুষ সেসব
অঙ্গীকার বাস্তবায়নের রূপরেখা দেখতে চায়। শিল্পোদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা ও বাজেটের আলোকে
নিজেদের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে চান। সুতরাং এ সম্পর্কে দেশবাসী যত বেশি
জানবেন ততই ভালো, সরকার ও জনগণ উভয়ের জন্যই। সুষ্ঠুভাবে একটি দেশের অর্থনীতি পরিচালনা
ও ব্যবস্থাপনায় একটি সুষম বাজেটের বিকল্প নেই। বাজেট এলে দেশের মানুষের মনে একই সঙ্গে
প্রত্যাশা ও শঙ্কা দুটিই জন্ম নেয়। বাজেট সম্পর্কে স্বচ্ছ ও বিস্তারিতভাবে জানতে পারলে
মানুষের প্রত্যাশা একটা জোরালো ভিত্তি খুঁজে পাবে, আর সেইসঙ্গে নতুন বাজেট সম্পর্কে
তাদের শঙ্কাও দূরীভূত হবে বলে আমাদের ধারণা। আশা করা যায়, উদ্যোক্তা পত্রিকা এই আলোচনা
অনুষ্ঠানমালা থেকে আলোচিত বিষয়সমূহ বাজেট সম্পর্কে সাধারণ মানুষদের একটা ধারণা
দিতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি নীতিনির্ধারকরাও এ আলোচনার আলোকে আসন্ন
বাজেটের বিভিন্ন বিষয় সংযোজন, সংশোধন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করে নিতে
পারবেন।
গোলটেবিল বাজেট আলোচনাগুলো আমরা সেই দিন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করা
ছাড়াও উদ্যোক্তা পত্রিকায় প্রকাশ করে একটা বই আকারে প্রকাশনার উদ্যোগ নিয়েছি, যাতে
এগুলো একসঙ্গে মলাটবন্দি অবস্থায় বাজেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ইচ্ছুক পাঠক
সাধারণের হাতে তুলে দেয়া যায়। সরকারের নীতি নির্ধারকরা ছাড়াও বিভিন্ন খাতে কর্মরত ব্যক্তি
ও গোষ্ঠীর জন্য এ বইএকটা প্রয়োজনীয় আকার গ্রন্থ হয়ে থাকবে বলে আমাদের ধারণা।
অনুষ্ঠানস্থল ও তরিখ: ১৭/০৪/২০২২ ইং রোজ রবিবার বেলা ৪ টায় বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল
এসোসিয়েশন, বিইএভবন, ১৪৪/২, নবাবপুর রোড, ঢাকা-১১০০।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম এ মান্নান,মন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। এছাড়া ব্যারিস্টার
শামীম হায়দার পাটোয়ারী (গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য), ধীরেন্দ্র দেবনাথ সম্ভু (বরগুনা-১
আসনের সংসদ সদস্য), অ্যাম্বাসেডর ওয়ালিউর রহমান (সাবেক সচিব), আলহাজ হারুন অর-রশিদ
(সিআইপি) (চেয়ারম্যান, এশিয়ান টিভি), ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ (চেয়ারম্যান,
জানিপপ), ড. আহমেদ আল কবির (অর্থনীতিবিদ ও পূবালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান), ড.
মোহাম্মদ আবদুল মজিদ (এনবিআর-এর সাবেক
চেয়ারম্যান) ড. সৈয়দ নকিব মুসলিম (সাবেক সচিব), মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন (সভাপতি,
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি), ড. মোঃ আব্দুর রউফ (মহাপরিচালক, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত
অধিদপ্তর), হাবিবুর রহমান হাবিব (বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা), এম এ সিদ্দিকি (লিগ্যাল
ইকোনোমিস্ট), ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া (পরিচালক, বিজনেস অনুষদ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়),
প্রফেসর মাহবুব আলী (সাবেক উপাচার্য, প্রেসিডেন্সি বিশ^বিদ্যালয়), ড. নরুল আজাহার
শামীম (সভাপতি, কর আইনজীবী ফেডারেশন), এ বি এম এরশাদ (সভাপতি, বাংলাদেশ ক্যাবল
ম্যানুফেকচার এসোসিয়েশন), ড. হোসনে আরা বেগম , (চেয়ারম্যান, টিএমএসএস), শাহাদৎ
হোসেন (চেয়ারম্যান, জেমস গ্রæপ),মাসুদুর রশিদ (ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, স্বপ্নধারা), আমিন
হেলালী, (ভাইস চেয়ারম্যান, এফবিসিসিআই) ও মোহাম্মদ সোহেল হোসেন, (সম্পাদক ও
প্রকাশক, সাপ্তাহিক উদ্যোক্তা পত্রিকা) সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। শেষে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খন্দকার রুহুল আমিন সিআইপি, (সভাপতি, বাংলাদেশ ইলেক্ট্রিক্যাল
এসোসিয়েশন)।