অনলাইন নিউজ :রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের হামলার শিকার হয়েছেন ৯ জন সাংবাদিক। হেলমেটধারী দোকান কর্মচারীরা হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে সাংবাদিকদের। এছাড়া তাদের ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হন সাংবাদিকরা। আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা সংঘর্ষের সময় হামলার শিকার হন তারা।
হামলার শিকার সাংবাদিকরা হলেন- আজকের পত্রিকার রিপোর্টার আল আমিন রাজু ও ডেইলি স্টারের ফটোগ্রাফার প্রবীর দাস, ঢাকা পোস্টের সিনিয়র রিপোর্টার জসীম উদ্দীন মাহি, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার ইকলাচুর রহমান, দীপ্ত টিভির রিপোর্টার আসিফ সুমিত, এসএ টিভির রিপোর্টার তুহিন, ক্যামেরাপারসন কবির হোসেন, আরটিভির ক্যামেরা পার্সন সুমন দে, মাই টিভির রিপোর্টার ড্যানি।
এরমধ্যে দৈনিক আজকের পত্রিকার রিপোর্টার আল আমিন রাজু ও ডেইলি স্টারের ফটোগ্রাফার প্রবীর দাসকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়েছে হেলমেটধারী দোকান কর্মচারীরা।
এদিকে গত রাত থেকে চলা সংঘর্ষে দোকান কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
এদিকে আজ সকালে ৯ দোকান কর্মচারী ও শিক্ষার্থী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন। দোকান কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছেন, সাজ্জাদ (২৫), মো. সেলিম (৪২), মো. রাজু (১৬), মো. কাওছার আহমেদ (১৮), মো. আপেল (১৬), মো. সাগর (১৮), মো. রাসেল (১৫) ও মো. রাহাত (১৯)। এছাড়া ঢাকা কলেজের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. আলী (২২) আহত হয়েছেন।
সোমবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় একটি দোকানে খাবার খাওয়ায় নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
সময় টিভির ওই সাংবাদিককে নিউমার্কেট থেকে নীলক্ষেত মোড়ে এনে পেটাতে শুরু করেন দোকানকর্মীরা। এসএ টিভির ওই ক্যামেরাপারসনের মাথা ফেটে গেছে। দোকানকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করায় তাঁকে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে তাড়িয়ে দেন দোকানকর্মীরা। ]
এই সংঘর্ষ সামাল দিতে গতকাল রাতে বিপুল পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও আজ দুপুর পর্যন্ত কাউকে নিউমার্কেট এলাকায় দেখা যায়নি। দুপুরের পর পুলিশের দুটি গাড়ি ওই এলাকায় আসতে দেখা গেছে।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ‘কথা-কাটাকাটির জেরে’ এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়াধাওয়ি হয়।
ঘটনার জেরে মিরপুর রোডের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় চন্দ্রিমা সুপারমার্কেটের সামনে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে ফিরে গেছেন। ব্যবসায়ীরাও তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চলে গেছেন।
তবে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালিয়েছে পুলিশ- এমন অভিযোগ করে কলেজের ভেতরে বিক্ষোভ শুরু করেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা হলের ছাদে ও তেলের পাম্প এলাকায় অবস্থান নেন। ফলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দাবি করলেও ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।