অনলাইন নিউজ : রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে থানা ভবন নির্মাণে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
মঙ্গলবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, সরকার ডিএমপিকে দেশের প্রচলিত সব আইন-কানুন মেনে এই জমি বরাদ্দ দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে ডিএমপি কোনো ব্যক্তির বা সংস্থার জমিতে বেআইনিভাবে থানা ভবন নির্মাণ করছে না।
তিনি জানান, বিকল্প খেলার মাঠ ব্যবস্থার বিষয়টি ডিএমপির এখতিয়ারভুক্ত নয়।
ডিএমপি জানায়, জনস্বার্থে কলাবাগান থানার জন্য ধানমন্ডি মৌজার শূন্য দশমিক ২০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইনের সব বিধি-বিধান অনুসরণ করা হয়েছে। ওই জমি সরকারি সম্পত্তি ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন।
এ ছাড়া, স্থানীয় সংসদ সদস্য এলাকাবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে স্থায়ীভাবে কলাবাগান থানা স্থাপনের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ডিও লেটার দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, ঢাকার জেলা প্রশাসক সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনে ওই জমি অধিগ্রহণের জন্য সুপারিশসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের মতামত দিয়েছেন এবং সরকারের কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটিতে কলাবাগান থানার জন্য ওই জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান ।
তিনি বলেন, এরপর গত ৩১ জানুয়ারি ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ডিএমপিকে তেঁতুলতলা মাঠের জমির দখলভার হস্তান্তর করে।
ডিএমপির পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, প্রস্তাবিত থানার জায়গা তেঁতুলতলা মাঠ থেকে কিছু দূরে কলাবাগান মাঠ রয়েছে। সেখানে বাচ্চাদের খেলাধুলাসহ সামাজিক অনুষ্ঠান করার সুযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার দেশ রূপান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অধিক্ষেত্র ১৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় যেকোনো ধরনের স্থাপনা বা ইমারত নির্মাণ করতে হলে অনুমোদন নিতে হবে এ সংস্থাটি থেকে। এছাড়া স্থাপনার নকশা অনুমোদনের আগে ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্রও নিতে হবে রাজউকের কাছ থেকে। এরপর জমির মালিকানা, নকশা অনুমোদনকারী কর্র্তৃপক্ষের তথ্যসহ নানা ধরনের তথ্য দিয়ে নির্মাণ সাইটে সাইনবোর্ড ঝোলাতে হবে। বিদ্যমান আইনে এ ধরনের বিধান থাকলেও রাজধানীর কলাবাগান এলাকার তেঁতুলতলা মাঠে পুলিশের স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে এসব মানা হচ্ছে না। বিতর্কিত এ স্থাপনার বিষয়ে রাজউকের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ মহলের কাছেও অনুমোদনসংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই। এছাড়া স্থাপত্য অধিদপ্তর থেকেও নকশা তৈরি বা অনুমোদন নেওয়া হয়নি।