সিলেট সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও আশেপাশের এলাকার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে মঙ্গলবার সকালে সিলেট পৌঁছে অপরাহ্ণে প্রথমে বিভাগীয় শহরে হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজার জিয়ারত করেন। তিনি সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও ফাতেহা পাঠ এবং মোনাজাত করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী হযরত শাহপরান (র.) এর মাজার পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানেও পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও ফাতেহা পাঠ এবং মোনাজাত করেন।
এর আগে, আজ সকালে বন্যা পরিস্থিতি এবং বন্যার্ত মানুষের দুর্দশা সরেজমিনে দেখতে হেলিকপ্টারযোগে সিলেট যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারপ্রধান নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও সিলেটের বন্যাকবলিত এলাকা হেলিকপ্টারযোগে পরিদর্শন করে সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণ করেন এবং নির্ধারিত কর্মসূচিতে অংশ নেন।
পাহাড়ি ঢল আর অতিভারী বৃষ্টিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় তলিয়ে গেছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলা সিলেট ও সুনামগঞ্জ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দুই জেলার লাখ লাখ মানুষ।
জানা গেছে, দেশের বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকায় প্রায় অর্ধ কোটি লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় সরকারিভাবে ক্যাশ টাকা, চাল, শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। বানভাসি মানুষদের নেওয়া হচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্রে। কিন্তু বন্যা পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে আশ্রয়কেন্দ্র, খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানীয় সঙ্কটে রয়েছে বানভাসি মানুষ।
রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে সরকার প্রধান জানান, সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার খবর নিয়মিত রাখছেন তিনি এবং পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি তার সরকারের রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রশাসন, আমাদের সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী, বিমান-বাহিনী থেকে শুরু করে আমাদের অন্য সব প্রতিষ্ঠানকে আমি মানুষকে উদ্ধার করা, তাদের ত্রাণ দেওয়া … সব ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। সেই সাথে আমাদের দলের যারা – আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, প্রত্যেক নেতাকর্মী, বিভিন্ন এলাকায় তারাও সহযোগিতা করছেন। খাবার বিতরণ থেকে শুরু করে উদ্ধার কাজে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তাছাড়া স্যালাইনের ব্যবস্থা, পানির ব্যবস্থাসহ অন্যান্য যা যা দরকার হতে পারে তার জন্য প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি।’
এ জাতীয় আরো খবর..