অনলাইন নিউজ : বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য আজ থেকে দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছে। নতুন সূচিতে এ অফিস চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। সাপ্তাহিক ছুটি এখনকার মতো শুক্র ও শনিবারই থাকবে। তবে নতুন সূচির প্রথম দিনের সকালে রাজধানীতে গণপরিবহনের সংখ্যা কম দেখা গেছে। ফলে প্রতিটি গণপরিবহনেই ছিল যাত্রীর প্রচুর চাপ।
আজ বুধবার সকালে ঢাকায় প্রায় প্রতিটি বাসে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে যেতে দেখা গেছে। অনেককে বাসের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতেও দেখা গেছে।
এ সময় দেখা যায়, সড়কে যে অল্প পরিমাণে বাস ছিল, তার প্রায় প্রতিটিতে যাত্রীরা দাঁড়িয়ে গেছেন। বাসে নারীদেরও দাঁড়িয়ে যেতে দেখা গেছে। বাসের জন্য অনেক সময় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অফিসগামী যাত্রীদের। নির্দিষ্ট গন্তব্যে বাস পেতেও সমস্যায় পড়তে হয়েছে অনেককে।
এর আগে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সোমবার (২২ আগস্ট) মন্ত্রিসভার বৈঠকে অফিসের নতুন সময়সূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছিলেন।
এদিন তিনি জানান, বুধবার থেকে সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত অফিস সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত হবে। নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয়েছে, সব সরকারি অফিসগুলোতে কোথাও কোনো পর্দা টাঙানো থাকবে না। এয়ারকুলারও যথাসম্ভব কম ব্যবহার করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্তের কারণে দুইটা সুবিধা হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি জানান, একটা হলো বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে সঙ্গে ট্রাফিক জ্যামও কমবে।
তিনি বলেন, সারা দেশে আমনের সেচ নিশ্চিত করতে সামনে ১২ থেকে ১৫ দিন মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে। যাতে সেচে কোনো অসুবিধা না হয়।
বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসা পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে বলেও আভাস দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, দেখা যাক, পরবর্তী অবস্থা উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত চলুক।