বিডি ঢাকা অনলাইন ডেস্ক
নওগাঁর নিয়ামতপুরে চলতি আমনের ভরা মৌসুমে রাসায়নিক সারের দাম বাড়া নিয়ে এক শ্রেণির অসাধু সার ব্যবসায়ীদের কারণে গুজব উঠেছিল। এরইমধ্যে সরকারিভাবে ইউরিয়া সারে কেজি প্রতি দাম বাড়ানো হয়েছে ৬ টাকা করে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবী চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় বাজারে এমওপি সারের সংকট তৈরি হয়েছে। নিয়ামতপুরে ইউরিয়া, টিএসপি ও ডিএপি সারের কোনো সংকট নেই।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নে অবস্থিত বিএডিসি ডিলার মের্সাস বিমল চন্দ্র সার বিতানে ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ৫০ জন ব্যক্তিকে সরকারি নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রি করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল চন্দ্র প্রামানিক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আমনের ভরা মৌসুমে সংকটের অজুহাতে বাজারে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে এমওপি (পটাশ) সারের দাম। সে সাথে কিছু কিছু অসাধু সার ব্যবসায়ীরা গুদামে সার আটকে রেখে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ আবারও সরকারি নির্ধারিত মূল্যে প্রতিবস্তা ইউরিয়া, ডিএপি ও এমওপি সার ডিলাররা বিক্রি করছেন।
নিয়ামতপুর ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বিএডিসি ডিলার বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল চন্দ্র প্রামানিক বলেন, উপজেলায় বরাদ্দের চেয়ে রাসায়নিক সার কম পাওয়া গিয়েছে। তবে বাজারে ইউরিয়া, টিএসপি ও ডিএপি সারের কোন সংকট নেই, বিক্রিও হচ্ছে সঠিক দামে। কেউ দাম বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি আরোও বলেন, চাহিদার অনুপাতে বাজারে এমওপি সারের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। আমরা এটিকে সংকট বলতে চাচ্ছি না।