বিডি ঢাকা অনলাইন ডেস্ক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার আলিনগর-বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের চড়ুইল বিল এলাকায় জাল দিয়ে পাখি শিকার করার সময় এক ব্যক্তিকে আটক করেন এলাকাবাসী। আজ ভোর ৬টার দিকে মাশোয়ারুল হক জিকেনের নেতৃত্বে শিকারকৃত ৮টি পাখি ও শিকারের জালসহ আনারুল ইসলাম (৪০) নামে এক পাখি শিকারীকে আটক করা হয়। পাখি শিকারী আনারুল ইসলাম নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের কালোহর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে।
মাশোয়ারুল হক জিকেন জানান, প্রায় ৭-৮ বছর পূর্বেই গোমস্তাপুর উপজেলাকে পাখির অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়। অতিথি পাখিসহ নানা ধরণের পাখির এই অভয়ারণ্য গড়ে উঠেছে অত্র এলাকার চড়ুইল ও সোনাতলা বিলকে কেন্দ্র করেই।
এ ব্যাপারে তিনি এলাকার লোকজনের সহায়তায় পাখি শিকার বন্ধ করার জন্য নিয়মিত ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। প্রতিবছর বিভিন্ন পর্যায়ের গবেষক ও পাখিপ্রেমীরা এই এলাকা পরিদর্শনে আসেন।
তিনি আরো জানান, গত কয়েকদিন আগে মকরমপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোরে চড়ুইল বিল এলাকায় পাখি শিকারীর খোঁজে যান তিনি। পাখি শিকারী আনারুল ইসলাম রাতের আঁধারে পাখি শিকার করে খুব ভোরে এলাকা ছেড়ে চলে যেতেন। পাখি শিকার করে বিক্রি করাই ছিল আনারুল ইসলামের নিত্যদিনের কাজ।
প্রত্যক্ষদর্শী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ” আমি তাকে প্রতিদিনই নিষেধ করা স্বত্ত্বেও সে পাখি শিকার করে আসছিলো। আজ জিকেন ভাইকে ডেকে সবাই মিলে শিকারীকে আটক করা হয়েছে।”
পাখি শিকার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে আটক শিকারীকে পুলিশে সোপর্দ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে শিকারী আনারুল ইসলামের ভুল স্বীকারের প্রেক্ষিতে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। একইসাথে শিকারকৃত পাখিগুলো অবমুক্ত করা হয় এবং শিকারে ব্যবহৃত জাল উপস্থিত লোকজনের সামনেই আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
পাখি শিকারী আনারুল ইসলাম উপস্থিত লোকজনের সামনে প্রতিজ্ঞা করেছেন, তিনি আর কখনোও কোথাও পাখি শিকার করবেন না এবং পাখি শিকারের বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণা চালাবেন।
পাখিপ্রেমী মাশোয়ারুল হক জিকেন পুরো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাকে পাখির অভয়ারণ্য ঘোষণার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।