বিডি ঢাকা অনলাইন ডেস্ক
এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে যাচ্ছে ‘সাঁতাও’ চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী। কৃষকের সংগ্রামী জীবন, নারীর মাতৃত্বের সার্বজনীন রূপ এবং সুরেলা জনগোষ্ঠীর সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নায় আবর্তিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘সাঁতাও’। চলচ্চিত্র নির্মাতা খন্দকার সুমনের এই চলচ্চিত্রটি ইতিমধ্যেই দর্শক ও সমালোচক মহলে নন্দিত হয়েছে।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাবির শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক-সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘সাঁতাও’ চলচ্চিত্রের তিনটি শোয়ের আয়োজন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ। এদিন বিকাল ৩টা, ৫টা ও সন্ধ্যা ৭টায় দর্শনীর বিনিময়ে ছবিটির তিনটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
‘সাঁতাও’ চলচ্চিত্রটি দেখার জন্য টিকিট পাওয়া যাচ্ছে ক্যাম্পাসের টুকিটাকি চত্বরের বুথে ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ও ২২ তারিখ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১ পর্যন্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত এবং বিকাল ৩টা থেকে ৬টা রাবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাছে প্রশাসন ভবন-২ এর সামনের বুথে টিকিট মিলবে।
এ ছাড়া শোয়ের দিন ভেন্যুতে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত টিকিট পাওয়া যাবে। এন্ট্রি ফি ৫০ টাকা। ‘সাঁতাও’ গণ-অর্থায়নে নির্মিত একটি স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্র। খন্দকার সুমনের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এটি। চলচ্চিত্রটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছিল ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত ৫৩তম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। বাংলাদেশে প্রথম প্রদর্শনী হয় এ বছর জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। ‘সাঁতাও’ এই উৎসবে বাংলাদেশ প্যানোরমা বিভাগে সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে ফিপরেসি অ্যাওয়ার্ড লাভ করে।
ছবিটি কয়েকটি সিনেমা হলে মুক্তি পেলেও কিছুদিন পরেই নানা অজুহাতে হল থেকে ছবিটি নামিয়ে দেওয়া হয় বলে পরিচালক খন্দকার সুমন অভিযোগ করেছেন। এ কারণেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিকল্প ভেন্যুতে ছবিটির প্রদর্শনী আয়োজনের চেষ্টা করছেন বলে খন্দকার সুমন জানান।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের মডারেটর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রফেসর ড. সাজ্জাদ বকুল বলেন, খন্দকার সুমনের মতো স্বাধীনধারার চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সহায়তা করার জন্য আমরা এই প্রদর্শনী আয়োজন করেছি। এই ছবির প্রদর্শনী থেকে প্রাপ্ত অর্থ নির্মাতার হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।