বিডি ঢাকা অনলাইন ডেস্ক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলাশহরের কোমলমতি শিশুরা স্কুলের ভারী ভ্যাগ টানতে টানতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। তারা খেলাধুলা কিংবা বিনোদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছিল। শিশুদের জন্য শহরের কোলাহল চিরে নির্মল বিনোদনের জন্য কোনো পার্ক না থাকায় তাদের মানসিক বিকাশ বাধগ্রস্ত হচ্ছিল। বিশেষ করে একটি মানসম্মত শিশুপার্কের চাহিদা থাকলেও তা না থাকায় সে সুযোগ থেকেও তারা বঞ্চিত হয়ে আসছিল।
তবে শিশুপার্কের খরা কাটিয়ে উঠে বিনোদনের জায়গা পেয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাশহরের শিশুরা। দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা কালেক্টরেট ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ও গ্রিনভিউ স্কুল সংলগ্ন জেলা প্রশাসনের কর্তৃত্বাধীন ক্যালেক্টরেট শিশুপার্কটি অবশেষে সংস্কার করে সবার জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। পার্কটি পশু-পাখির প্রতিকৃতিতে ভরপুর রয়েছে। এছাড়া শিশুদের খেলার জন্য কয়েকটি রাইডও রয়েছে। পয়সা ছাড়াই কালেক্টরেট শিশুপার্কে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকা যাবে।
বুধবার বিকেলে এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন। উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, শিশুদের মানসিক বিকাশের কথা চিন্তা করে শহরের প্রাণকেন্দ্রে মোটামুটি পরিত্যক্ত শিশুপার্কটিকে সকলের সহযোগিতায় উৎকর্ষতা সাধনের চেষ্টা করেছি। শিশুরা এখানে এসে বিভিন্ন প্রাণির সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে এবং বিভিন্ন রাইড ব্যবহার করে তারা বিনোদন লাভ করতে পারবে। আরো উৎকর্ষতা সাধনের প্রয়োজন আছে উল্লেখ করে তিনি এটিকে সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, এটি দেখভাল করার দায়িত্ব সবার।
জেলা প্রশাসক বলেন, মানুষ বিনোদনপ্রেমী। বিনোদনের খরা কাটিয়ে আমাদের শিশুরা যাতে মুক্ত আকাশে তাদের বিকাশের জায়গা প্রকাশ করতে পারে তাহলে আগামী দিনে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ পাবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন প্রতিটি জেলা সদরে এরকম একটি শিশুপার্ক থাকবে, যেখানে শিশুরা মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াবে। আমি মনে করি শিশুদের ঘুরে বেড়ানোর মতো শিশুপার্ক করতে পেরেছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেনÑ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ রুহুল আমিন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপসচিব) দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও, পুলিশ সুপার এএইচএম আব্দুর রকিব, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী আফাজ উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) পাপিয়া সুলতানা, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোজহার আলী প্রামানিক, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. গোলাম রাব্বানী, জেলা শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা শফিকুল আলম, শিল্পকলা একাডেমির কালচার অফিসার ফারুকুর রহমান ফয়সলসহ জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারগণ।
উদ্বোধনের পর শিশুদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে শিশুপার্কটি।