বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩০ পূর্বাহ্ন

নিয়ামতপুুরে বোরো ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকেরা মুখে হাসি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৭ মে, ২০২৩
  • ৯৬ বার পঠিত

বিডি ঢাকা অনলাইন ডেস্ক

 

 

শস্য ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলা শস্য উৎপাদনে অন্যতম। এই উপজেলায় চলতি মৌসুমে আগাম ইরি-বোরো ধান কাটার ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। এখন ধান কেটে মাড়াই কাজ করছেন তারা। পাশাপাশি বসে নেই কৃষাণীরাও। তারাও মনের আনন্দে ধান শুকিয়ে ঘরে তোলার কাজে সহযোগিতা করছেন। তবে আর কদিন পর পুররোদমে কাটা মাড়াই শুরু হবে বলে জানান কৃষকরা।
চলতি মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ফলে কৃষকরা জমিতে সঠিক সময় পর্যাপ্ত সেচ দিতে পেরেছেন। এছাড়া কৃষি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে থেকে কৃষকদের সব রকম পরামর্শ প্রদান, পর্যাপ্ত সার পাওয়াসহ এবার কোনো কিছুতেই কৃষকদের বেগ পেতে হয়নি। তাছাড়া এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সর্বত্রই বোরো ধানের ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে এবং দামও ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে নিয়ামতপুর উপজেলায় ৮ ইউনিয়নে ২০ হাজার ৯ শ ৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আর অবাদ হয়েছে ২২ হাজার ৬ শত ৮৫ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ, ৫৬ হাজার, ৫২৬.৫ মেট্রিক টন চাল। উপজেলায় ইস্পাহানী-৮, বেবিলন, হীরা, মেটাল সীড হাইব্রিড ৩২০ হেক্টর।
আর ব্রি ধান ২৮,৬৩, ৭৪, ৮১, ৮৪, ৮৬, ৮৮, ৮৯, ৯০, ৯২, বঙ্গবন্ধু ধান ১০০, জিরাশাইল কাটারী উফশী জাতের ২২,৩৬৫ হেক্টর বোরো আবাদ হয়েছে।
উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের আমইল গ্রামের কৃষক হোসেন আলী বলেন, সার-সেচসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়ায় এ বছর তার জমিতে ফলন ভালো হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল ধান আবাদ করায় প্রতি বিঘায় তিনি ২৪-২৮ মণ ধান পাচ্ছেন।
বাহাদুরপুর ইউনিয়নের গোকুলপুুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, এ মৌসুমে ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। সময় মতো পানি, বীজ, সার পাওয়ায় ও আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ধানের রোগবালাই কম হয়েছে। এতে ধানের ফলন ভালো ফলন হচ্ছে। আমার ২ বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে ফলন প্রতি বিঘায় ২৫ মণ হয়েছে। ধান ও বিক্রি করা হচ্ছে ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকায়। এবার ধানের বাজার ভালো পাওয়ায় আমরা খুশি।
নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, মৌসুমের শুরুতে সরকারিভাবে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ উপজেলায় কৃষককে উফশী ধানের বীজ, ডিএপি সার ও এমওপি সার প্রদান করা হয়েছে। ফলন বৃদ্ধিতে মাঠপর্যায়ে থেকে কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হয়। এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় রোগ বালাই কম হয়েছে। এ পর্যন্ত উপজেলায় ৪০ শতাংশ ধান কাটা করা হয়েছে। বোরো ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৪.৫ মেট্রিক টন হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com