দেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের পুলিশের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।
ডিএমপির এ মুখপাত্র বলেন, ‘ভিসানীতি নিয়ে গতকাল আমরা যে নিউজটা দেখেছি, সেখানে বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কথা স্পষ্টভাবে বলা আছে। তারা বলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে তারা ভিসানীতি প্রয়োগ করেছে। এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোন কোন সদস্যের বিরুদ্ধে তারা ভিসানীতি প্রয়োগ করেছে, সেই তালিকা কিন্তু আমরা পাইনি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য সংখ্যা দুই লাখের ওপরে। এই সদস্যদের মধ্যে কতজন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চান আমার প্রশ্ন। খুবই নগণ্য কিছু লোক হয়তো আমেরিকা যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন অথবা ছেলেমেয়েদের পাঠানোর চিন্তা করেন। এই দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ পুলিশের ওপর এই ভিসানীতির কোনো প্রভাব পড়বে না।’
অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির প্রশ্নে ডিএমপির মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা তো আইনের মধ্য থেকেই কাজ করি। আগামী নির্বাচনে পুলিশ যে দায়িত্ব পালন করবে সেখানে আমাদের পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনীর লোকজনও থাকবেন। নির্বাচন কমিশন থেকে আগামী নির্বাচনে যে দায়িত্ব পালন করতে আমাদের বলা হবে, আমরা সেভাবে দায়িত্ব পালন করব। সে ক্ষেত্রে আমরা মনে করি যে ভিসানীতি আমাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে না।’
বাংলাদেশে আসন্ন গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাদানে দায়ী বা এতে জড়িত বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের কথা গত বৃহস্পতিবার জানায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে বলেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়া সম্ভাব্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও রাজনৈতিক বিরোধী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা।