আলিফ হোসেন,তানোরঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাকনহাট পৌরসভা নির্বাচন ১৬ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে পৌরবাসী এই নির্বাচনকে পরীক্ষিত (আব্দুল মজিদ) ও বির্তকিত (একেএম আতাউর রহমান খাঁন) নেতৃত্বের লড়াই বলে মনে করছে। স্থানীয়রা বলছে, এক সময় বিএনপির শক্ত ঘাঁটি ছিল কাঁকন হাট। কিন্ত্ত স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী তার রাজনৈতিক দুরদর্শীতায় মজিদকে আওয়ামী লীগে নিয়ে বিএনপির ঘাঁটি তছনছ করে আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে পরিণত করে মজিদ পরীক্ষিত নেতৃত্বের স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। অন্যদিকে আতাউর রহমান এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশায় কথিত সেভেন স্টার গ্রুপে যোগ দিয়ে মনোনয়ন না পেয়ে জাতীয় সংসদ, জেলা পরিষদ, উপজেলা নির্বাচনে এমপির বিরোধীতার নামে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বির্তকিত হয় বলে একাধিক ষুত্র নিশ্চিত করেছে। এদিকে গত ২২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ছিলো প্রার্থীতা বৈধতা যাচাই-বাছাইয়ের দিন। রাজশাহী জেলা রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে যাচাই বাছাই শেষে কাঁকনহাট পৌর নির্বাচনে ৬ জন মেয়র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও ৪ জনের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করা হয়। এরা হলেন, আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী একেএম আতাউর রহমান খান, বিএনপির মনোনিত প্রার্থী হাফিজুর রহমান হাফিজ, জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থী রুবন হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কাকনহাট পৌর সভার বর্তমান মেয়র এবং পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা প্রদানকারী আব্দুল্লাহিল কাফি ও রুঞ্জর রহমানের প্রার্থীতা ১০০ জনের ভোটার সমর্থন স্বাক্ষরের গড়মিল থাকায় তাদের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। এদিকে কাকনহাট পৌর সভার ৯টি ওয়ার্ডের ৩৬ জন সাধারণ কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তার মধ্যে ৩ জনের বাতিল ও ৩৩ জনের বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রার্থীর সবাইকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এবিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা সহকারি রিটানিং কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, আগামী ২৯ ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করা হবে এবং আগামী ১৬ জানুয়ারী নির্বাচনকে ঘিরে তিনি সকল রাজনৈতিক দলসহ সকলের নিকট সহযোগিতা কামনা করেছেন। জানা গেছে, বিগত ২০০২ সালের ১৪ নভেম্বর (গ) শ্রেণীর কাঁকনহাট পৌরসভা গঠন করা হয় এবং ২০১১ সালের ১৯ জানুযারী (খ) শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়। কাঁকনহাট পৌরসভার আয়তন ২০.০৫ বর্গ কিলোমিটার, ১৫ টি মৌজা ও ১৬টি গ্রাম এবং জনসংখ্যা ১৮ হাজার ৫১৫ জন, মোট ভোটার ১০ হাজার ২৫৯ জন এর মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৯৬৬ জন ও নারী ৫ হাজার ২৯৩ জন। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাঁকনহাট পৌরসভা সৃস্টির পর থেকে এখন পর্যন্ত একটানা প্রায় ১৮ বছর মেয়রের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জননন্দিত নেতা আব্দুল মজিদ। স্থানীয় সাংসদের সঙ্গে গভীর সখ্যতা ও তার সহযোগীতায় এবং দীর্ঘ সময় একটানা দায়িত্ব পালনের সুবাদে পৌরসভার দৃশ্যমান উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখে কাঁকনের রাজনীতিতে আব্দুল মজিদ হয়ে উঠেন অপ্রতিদন্দী নেতৃত্ব। পৌরসভায় ব্যক্তি মজিদের গড়ে উঠে বিশাল ভোট ব্যাংক যার পুরো নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তার হাতে। স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত আব্দুল মজিদ দীর্ঘ ১৮ বছর মেয়রের দায়িত্ব পালন সময়ে তিনি প্রতিদিন যদি একজন করে মানুষের উপকার করেন তাহলেও উপকারভোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৫৭৯ জন অর্থাৎ মোট ভোটারের অর্ধেকেরও বেশী। তাহলে উপকারভোগী এসব মানুষগুলোর কাছে তো প্রতিকের থেকে মজিদ বড় সহজ ভাষায় তারা তো প্রতিক নয় মজিদকে চাই। কিন্ত্ত দুঃখজনক হলেও সত্য জননন্দিত এই নেতাকে অজ্ঞাত কারণে নৌকার টিকেট দেয়া হয়নি, এসব মানুষের দাবির মুখে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন,তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় এসব মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অন্যদিকে স্থানীয়রা জানান, মজিদের পরিবর্তে নৌকার টিকেট যাকে দেয়া হয়েছে সেই একেএম আতাউর রহমান বয়োবৃদ্ধ দুর্বল নেতৃত্ব এবং এমপিবিরোধী বলে পরিচিত। এদিকে সাধারণ মানুষের ভাষ্য, দেশে এমপি নির্ভর রাজনীতিতে এমপির বিরোধীতা করে রাজনীতি বা এলাকার উন্নয়ন করা সম্ভব নয়, তাহলে তারা আতাউরকে বিজয়ী করে কি করবেন, তিনি কি এমপিকে মাইনাস করে কোনো উন্নয়ন করতে পারবেন না সেটা সম্ভব নয়।এসব বিবেচনায় তারা প্রতিক নয় মেয়র হিসেবে মজিদকে চাই। এছাড়াও প্রতিদিন একজন করে হলেও ১৮ বছরে ৬ হাজার ৫৭৯ জন মানুষের উপকার করেছে মজিদ,কিন্ত্ত আতাউর রহমান উল্লেখ করার মতো কি এমন করেছে-? এসব বিবেচনায় এখানো মজিদ পৌরবাসীর কাছে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছে।