বিডি ঢাকা ডেস্ক
নীলফামারীর সৈয়দপুরে গোবরের ঘুটে বা শলাকা বানিয়ে তা বিক্রি করে সংসার চলছে হাজারো পরিবারের। অনেকে এসব বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, শহর বা গ্রামের অনেকেই গরু মহিষ পালন করছেন। কেউ কেউ বাণিজ্যিকভাবে খামার গড়ে তুলেছেন। অচ্ছল পরিবারের নারীরা গরুর খামার বা আশপাশের গোবর কুড়িয়ে নিজ বাড়ি, রাস্তার পাশে অথবা ফাঁকা জায়গায় ঘুটে বা শলাকা তৈরি করছেন। এরপর সেগুলো রোদে শুকিয়ে জ্বালানির উপযোগী করে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে অন্যখানে বিক্রি করছেন। প্রতিবস্তা শুকনো ঘুটে ৩ থেকে ৪ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। আর গোবরের তৈরি শলাকা প্রতিটি ৩ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এতে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে একেকজনের প্রতিমাসে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা আয় হচ্ছে।
শহরের ইসলাম বাগ ফিদালী ইন্সটিটিউট সংলগ্ন এলাকায় বানু নামের এক নারী জানান, তার স্বামী একজন রিকশাচালক, তার পরিবারে মোট ৫ জন সদস্য। ভাড়া বাসায় থেকে স্বামীর রোজগারে সংসার চালাতে কষ্ট হয় বলে আশপাশ থেকে অথবা খামার থেকে গোবর সংগ্রহ করে ঘুটে ও শলাকা তৈরি করছেন তিনি। এতে একদিকে নিজ বাড়িতে রান্নার কাজ হচ্ছে অন্যদিকে অবশিষ্ট ঘুটে ও শলাকা বিক্রি করে প্রতিমাসে আয় হচ্ছে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা। আর সে টাকা দিয়ে সন্তানদের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারছেন।
শহরের দারুলউলুম মাদ্রাসা মোড় সংলগ্ন রাজিয়া বেগম জানান, সামান্য আয়ের সংসার তার। গ্যাস বা লাকরি কেনার সামর্থ্য নেই বলে আশপাশের গোবর কুড়িয়ে পাটকাঠি দিয়ে শলাকা তৈরি করছেন তিনি। এরপর সেগুলো রোদে শুকিয়ে নিজ বাড়িতে রান্নার কাজে ব্যবহার করছেন। আর বাকিটা বিক্রি করে প্রতিমাসে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা জমিয়ে রাখছেন।
আকলিমা পারভীন জানান, শহরের বাংগালীপুর নিজ পাড়ায় তার বাড়ি। স্বামী দুলাল হোসেন একজন বাসের কন্ডাক্টর। কষ্ট করে ১ থেকে ২টি গরু কিনেছেন। বাড়ির গরুর গোবর আর সংগ্রহ করা গোবর দিয়ে জ্বালানি তৈরি করছেন। এরপর সেগুলো রোদে শুকিয়ে নিজেদের সংসারের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিমাসে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা আয় করছেন। এক মেয়েকে সেই টাকায় অনার্সে পড়াশোনা করাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষণ রায় জানান, গোবর দিয়ে তৈরি জ্বালানি পরিবেশবান্ধব। গোবরের সঙ্গে ধানের গুড়া মিশ্রণ করে ঘুটে ও শলাকা তৈরি করলে ভালো জ্বলে। আর জ্বালানি শেষে ওই ছাই ফসলের জমিতে ব্যবহার করা যায়। এতে জমি হ
য় উর্বর। ফসল ও হয় পর্যাপ্ত।