বিডি ঢাকা ডেস্ক
রাজশাহীতে শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) জেলায় রেকর্ড করা হয়েছে এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তীব্র শীতে চরম কষ্টে রয়েছেন শ্রমজীবীরা। তবে ৪৮ ঘণ্টা পর অবশেষে এদিন দুপুরে রোদ উঠেছে। এরপর সড়কে যান চলাচলও বাড়তে থাকে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন শুক্রবার ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস। তথ্যমতে, দিনের তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। শনিবারই রাজশাহীতে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এবং তা ১০ ডিগ্রির নিচে, ফলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
এ ব্যাপারে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার রাজীব খান বলেন, সকাল ও সন্ধ্যায় কুয়াশা থাকবে রাজশাহী অঞ্চলে। তবে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রিতে নামলে আমরা তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে থাকি। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। শৈত্যপ্রবাহ কেটে গেলে শীতের প্রকোপও কমে আসবে।
তবে শনিবার দুপুর ১২টায় রাজশাহীতে রোদ ওঠে। যদিও সকাল থেকে কুয়াশায় ঢাকা ছিল পুরো রাজশাহী। কাজের প্রয়োজনে ভোর ৬টা থেকেই বাইরে বের হন শ্রমজীবীরা। নগরীর ওয়াপদা মোড়, শালবাগান ও রেলগেট এলাকায় নিজের সাইকেলে কোদালসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে কাজ পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন তারা। এ সময় শীতে থরথর করে কাঁপতে দেখা যায় তাদেরকে। শ্রমজীবীরা জানান, সংসার চালানোর তাগিদে বাধ্য হয়ে বাইরে বের হতে হয়েছে। কাজও আগের মত পাওয়া যাচ্ছে না। মাঝেমধ্যে কাজ না পেয়ে শীতে ঘণ্টার ঘণ্টা অপেক্ষার পর বাসায় ফিরে যেতে হচ্ছে।
আব্দুল আহাদ নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘শখে তো বের হইনি বাবা। কিছু করার নাই, কাজ না করলে চাইল-ডাইল তক্কারি (তরকারি) কিনবো কীভাবে? তার উপর আবার ছাইলিপাইলির (ছেলেমেয়ে) পড়ালেখার খরচ মিটাইত হবি। তার লাইগ্যা (সেজন্য) আইসনু (আসলাম) বাপু। কিন্তু কাজই তো পাইছি না।’ খৈয়বর আলী নামে আরেক শ্রমিক বলেন, ‘কষ্টের কথা কি বুলইবো, এত ঠাণ্ডাত তো বেরই হইতি (হতে) মুন (মন) চাই না। কিন্তু না বারায়্যা (বেরিয়ে) উপায় তো নাই।’