সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার রোধে সব পক্ষেরই সচেতনতা দরকার : আলোচনা সভায় অভিমত ক্ষতিপূরণ দাবি বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ ৫৯৫ টাকা কেজি দরে দিনে ১ কোটি টাকার গরুর মাংস বিক্রি করেন খলিল ঢাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পল্লী বিদ্যুতের ৭ জন বরখাস্ত ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের কর্মসূচি স্থগিত ন্যাশনাল মেডিকেল, সোহরাওয়ার্দী ও নজরুল কলেজে হামলা- ভাঙচুর, পরীক্ষা স্থগিত বরাদ্দের মধ্যেই দিবস পালন করতে হবে : জেলা প্রশাসক চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় আবদুল ওয়াহেদ নেতৃত্বাধীন প্যানেলের

টিসিবির জন্য ৩৯১ কোটি টাকার তেল-ডাল কিনবে সরকার

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৭৭ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডেস্ক

 

 

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ৩৯১ কোটি ১৯ লাখ টাকার রাইস ব্রাণ তেল এবং মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই তেল ও ডাল কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নতুন সরকারের অধীনে এটি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির প্রথম বৈঠক।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, টিসিবির জন্য ৩৯১ কোটি ১৯ লাখ টাকার রাইস ব্রাণ তেল এবং মসুর ডাল কিনবে সরকার। এরমধ্যে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার রাইস ব্রাণ অয়েল এবং ২০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল রয়েছে।

টিসিবি ৩টি লটে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার রাইস ব্রাণ তেল সরাসরি ক্রয় (ডিপিএম) পদ্ধতিতে কেনার জন্য স্থানীয় ৩টি প্রতিষ্ঠান মজুমদার প্রডাক্ট, মজুমদার ব্রাণ অয়েল মিলস এবং আলী নেচারাল অয়েল মিলস অ্যান্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের কাছে দরপ্রস্তাব চাওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠান ৩টি দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি) দরপ্রস্তাব ৩টি পরীক্ষা করার পর রেসপনসিভ হয়।

দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশ করা মজুমদার প্রডাক্ট, মজুমদার ব্রাণ অয়েল মিলস এবং আলী নেচারাল অয়েল মিলস অ্যান্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের কাছ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার রাইস ব্রাণ তেল ১৮৯ কোটি ৬০ লাখ টাকায় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেনার অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ভারতের উমা এক্সপো প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই ডাল কিনতে ৯৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয় হবে। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০১ টাকা ১৩ পয়সা।

জানা গেছে, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ক্রয়ের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে মাত্র ১টি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। দরপ্রস্তাবটি কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশ করা রেসপনসিভ একমাত্র দরদাতা প্রতিষ্ঠান ভারতের উমা এক্সপো প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হয়।

এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বগুড়ার রয় এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস এবং ঢাকার নাবিল নবা ফুডস লিমিটেড থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এই ডাল কিনতে খরচ হবে ১০৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৫ টাকা ৪৫ পয়সা।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। ২টি দরপ্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।

দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান বগুড়ার রয় এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস এবং ঢাকার নাবিল নবা ফুডস লিমিটেডের কাছ থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল প্রতিকেজি ১০৫ টাকা ৪৫ পয়সা হিসেবে ১০৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি প্রস্তাবটি অনুমোদন দিয়েছে।

ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য (টেবিলে ৩টি প্রস্তাবসহ) ১২টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছিল। প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৪টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৪টি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৩টি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ১টি প্রস্তাবনা ছিল।

ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১২টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ৩ কোটি ৫৮ লাখ ১০ হাজার ৬৬০ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৮৬১ কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার ১৬০ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক অর্থায়ন করবে ১ হাজার ১৪১ কোটি ৯০ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com