বিডি ঢাকা ডেস্ক
দেশে বিরাজমান শীত-ঠান্ডার তীব্রতা যেনো কমতেই চাচ্ছেনা। থেমে থেমে আরো গর্জে উঠছে। গত দুই দিন শীত-থান্ডা ও হীমেল বাতাসের তীব্রতা তুলনামূলক ভাবে কিছুটা কম থাকলেও মাঘের অষ্টম দিনে এসে দুপুর গড়িয়ে গেলেও তেমনভাবে সূর্যের দেখা মেলেনি রাজধানীসহ দেশের বেশিরভাগ এলাকায়।
শীতের এমন তাণ্ডব লীলার মধ্যে আবার আবহাওয়া অফিস আভাস দিয়েছে যে আগামী বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে হালকা থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) ভোর ৬ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দিনাজপুর ও বদলগাছীতে দেশের সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে। রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি কমে শীত আরো বাড়তে পারে। ভোরে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এবার শীতে এটাই ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে, সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে। কোথাও কোথাও কুয়াশা থাকতে পারে দুপুর পর্যন্ত। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার খবরও মিলছে প্রায় প্রতিদিনই। শীতের দাপটে ঠাণ্ডাজনিত অসুখবিসুখে ভুগছে শিশু ও বয়স্করা। ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে।
এদিকে তাপমাত্রার পারদ ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাওয়ায় ইতোমধ্যেই কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও পাবনায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের বড় এলাকাজুড়ে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে সেটি তীব্র শৈত্য প্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উল্লেখ্য, তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেটিকে মৃদু শৈত্য প্রবাহ ধরা হয়।