বিডি ঢাকা ডেস্ক
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার মহিষখলা বাজারের শতবর্ষী কালীবাড়িতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কালীপূজাকে কেন্দ্র করে জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণে জমে উঠে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ মেলা।
প্রতি বছর ফাল্গুনের পহেলা শনিবারে ঐতিহ্যবাহী এই মেলার আয়োজন করা হয়, তাই স্থানীয়রা একে ফাল্গুনী মেলা বলেন। মেলাটি স্থানীয়দের অসাম্প্রদায়িকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
সুনামগঞ্জ, তাহিরপুর, ধর্মপাশা, মধ্যনগর জামালগঞ্জ, নেত্রকোণা, মোহনগঞ্জসহ আশপাশের এলাকার কয়েক হাজার মানুষ এখানে আসেন মেলার আনন্দ উপভোগ করতে।
প্রায় শতাধিক বছর ধরে অনুষ্ঠিত এই মেলা উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এবারও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার ক্রেতা-দর্শণার্থীদের আগমন ঘটেছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যার যার ইচ্ছাপূরণে মানত আদায় (পাটা, কবুতর ইত্যাদি বলিদান) করেছেন মহিষখলা কালীবাড়িতে। দুর্গম ও অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে মেলায় আসা ক্রেতা-দর্শণার্থীদের পোহাতে হয়েছে চরম দুর্ভোগ।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মহিষখলা বাজারের দক্ষিণ পাশে গরুর হাটে সকাল ৮টা থেকে ফসরা সাজিয়ে বসতে থাকে মেলায় আসা দোকানিরা। বেলা বাড়ার সাথে মেলায় বাড়তে থাকে ক্রেতা- দর্শনার্থীর ভিড় । দুপুর থেকে পুরোদমে কেনা-বেচার ধুম পড়ে মেলায়। কোমলমতি শিশুরা তাদের পছন্দের মাটি ও প্লাস্টিকের তৈরি খেলনা কিনেছে। অন্যদিকে মেলায় আসা বিভিন্ন বয়সের ক্রেতারা তাদের পছন্দের বিভিন্ন ধরনের খাবার মুড়ি মুড়কি, বাতাসা, সন্দেশ, রসগোল্লা ও জিলাপি কিনেছেন। এছাড়াও কিনেছেন কাঠের ও লোহার তৈরি জিনিসপত্র।
মেলায় আসা ক্রেতা-দর্শণার্থীরা জানান, আমাদের গারো পাহাড়ের পাদদেশ মহিষখলায় শত বছর আগে থেকে এই মেলা হয়ে আসছে। প্রতি বছর ফাল্গুনের প্রথম শনিবারে মহিষখলা কালীবাড়ির কালীপূজাকে কেন্দ্র করে এই মেলা জমে উঠে। ক্রেতারা তাদের পছন্দ মতো জিনিসপত্র ক্রয় করে। মূলত সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সমাগমে মেলা প্রাণবন্ত উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। এই ধারা অব্যাহত থাকুক বছরের পর বছর।