বিডি ঢাকা ডেস্ক
ইবাদতের সবচেয়ে বড় মৌসুম হলো রমজান। এ মাসে প্রতিটি আমলের প্রতিদান যেমন হাজার গুণ বেড়ে যায়, তেমনি একজন মুমিনের জন্য সব পাপ থেকে বেঁচে নিজেকে একজন মুত্তাকি হিসাবে গড়ে তোলারও সুবর্ণ সুযোগ হয়।
সারা বছর আমাদের থেকে যে ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়, সেগুলোকে আল্লাহতায়ালার কাছ থেকে ক্ষমা করিয়ে নেওয়ার মোক্ষম একটা সুযোগ হলো রমজান। এ মহাসৌভাগ্য অর্জন করতে আমরা নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর অনুসরণ করতে পারি।
পাপ কাজ বর্জন করুন
তবে রোজা রাখা মানে শুধু এই নয়, সুবহে সাদেক থেকে নিয়ে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী সঙ্গম থেকে বিরত থাকা বরং পূর্ণাঙ্গভাবে রোজা রাখতে হলে এ সবের পাশাপাশি সব পাপ কাজ থেকে বেঁচে থাকাও বাঞ্ছনীয়। যেমন, মিথ্যা কথা বলা, অপরের দোষ চর্চা করা, ঝগড়া বিবাদ করা, গালাগালি করা, দৃষ্টির হেফাজত করা, সুদ, ঘুস ইত্যাদি কাজ থেকে বিরত থাকা।
পক্ষান্তরে যারা এসব কাজ থেকে বিরত থাকে না, হাদিসে সতর্ক করে বলা হয়েছে, তাদের রোজা আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত; রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পাপ, মিথ্যা কথা, অন্যায় কাজ ও মূর্খতাসুলভ কাজ ত্যাগ করতে পারে না, তার পানাহার ত্যাগ করাতে আল্লহতায়ালার কোনো প্রয়োজন নেই। (সহিহ বুখারি : ১৯০৩)।
কুরআন তেলাওয়াত করুন
রমজানে বেশি বেশি পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। কেননা আল্লাহতায়ালা রমজানের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন, রমজান হলো এমন মাস, যে মাসে কুরআন নাজিল করা হয়েছে। তাছাড়া রমজানে প্রতিটি আমলকে ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
আমরা যদি এক খতম কুরআন তেলাওয়াত করতে পারি, তাহলে ৭০ খতমের সওয়াব অনায়াসেই পেয়ে যাচ্ছি। তবে আমাদের এদিকে লক্ষ রাখতে হবে, অনেকে একাধিক খতম দেওয়ার জন্য খুব দ্রুত কুরআন তেলাওয়াত করেন। এটি একদমই সমীচীন নয়। বরং তেলাওয়াত ধীরে-সুস্থে কায়দাকানুন ঠিক রেখে করা উত্তম। তাই আমাদের উচিত, রমজানে সহিহ্-শুদ্ধভাবে বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করা এবং সময় থাকলে কুরআনের অর্থ বুঝে বুঝে তাফসিরসহ পড়াটা সর্বোত্তম কাজ।