রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানিয়েছে বুধবার সারাদিনই এমন মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত থাকবে। তবে সন্ধ্যার পর বৃষ্টি থেমে যেতে পারে এবং রাতেই আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজশাহীর সাধারণ মানুষ। সকালে অফিসগামী লোকজন আর স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন। রমজানের শেষ দশকে কেনাকাটায়ও ছেদ পড়েছে। রাজশাহী মহানগরের সাহেববাজার ও আরডিএ মার্কেট, গণকপাড়া এলাকার ফুটপাতে কেনাকাটা জমে উঠেছিল। বুধবার বৃষ্টির কারণে অনেক দোকানপাট সকালে বন্ধ দেখা গেছে। শহরে মানুষের চলাচলও অন্যান্য দিনের তুলনায় দেখা গেছে কম।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইনচার্জ) রহিদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দিনগত রাত দেড়টা থেকে বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর বৃষ্টি হওয়ার দিনের তাপমাত্রাও কমেছে। বুধবার রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ছিল। এরমধ্যে গত ১৫ মার্চ রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা বেড়েছে। এমন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিকে কালবৈশাখীর প্রি-মৌসুম বৃষ্টিও বলা হয়।
বর্তমানে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা ও জয়পুরহাটের আকাশে এমন মেঘ ও বৃষ্টি রয়েছে। আজ সারাদিনই বৃষ্টির কথা রয়েছে। তবে সন্ধ্যার পর বৃষ্টির পরিমাণ কমে এলে রাতে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে।