বিডি ঢাকা ডেস্ক
রাজশাহী নগরীতে মানবিক সহায়তা চেয়ে এক যুবককে ডেকে নিয়ে চাঁদাদাবীসহ মোবাইল ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে এক নারী ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাতও আজ রোববার সকালে রাজশাহী নগরীর মতিহার থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মোসা: জেসিমন আকতার (২৬) ও মো: রবিন (২৫)। জেসমিন রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার খোজাপুরের মো: খাদেমুল ইসলামে মেয়ে ও রবিন বোয়ালিয়া থানার রাণীনগর বাবর আলী সড়কের মৃত সিরাজুল হকের ছেলে। তাদের বর্তমান ঠিকানা মতিহার থানার কাজল বড় মসজিদের পাশে।
নগর পুলিশ জানায়, রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর থানার ঝালুকা গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে এক মাস পূর্বে জেসমিনের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর হতেই প্রায় তাদের মধ্যে কথা হত। গতকাল শনিবার জেসমিন মোবাইল ফোনে ওই যুবককে বলে তার বাড়িতে কোনো খাবার নাই। তাই কিছু টাকা দিয়ে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করে।এ কথা শুনে ভুক্তভোগী ঐ যুবক সরল বিশ্বাসে গতকাল সকাল ৮ টায় রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার কাজলা এলাকায় এসে জেসমিনের সঙ্গে দেখা করে। জেসমিন পরিকল্পিতভাবে ফুসলিয়ে ওই যুবককে তার বাড়িতে নিয়ে যায় এবং ঘরের ভিতরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।
এদিকে ঘরে আগে থেকেই রবিন নামে যুবক ছিল। সেখানে ওই যুবককে তারা জোরপূর্বক আটকিয়ে রেখে ৫০ হাজার টাকা চাঁদাদাবী করে এবং ভয়ভীতি দেখায়। এসময় ভুক্তভোগী তাদের চাঁদা দিতে না চাইলে তারা ভয় দেখিয়ে তার কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোন ও ৫ হাজার দুইশত টাকা কেড়ে নেয়। এরপর ভুক্তভোগী যুবক সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে গিয়ে মতিহার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে নগরীর মতিহার বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মধুসুদন রায়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো: মোবারক পারভেজ সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেন।
শনিবার দিবাগ রাত রাত পৌনে ১ টায় মতিহার থানা পুলিশের ওই দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রবিনকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত রবিনের দেওয়া তথ্যমতে অপর জেসমিন আক্তারকে সকাল ১০ টায় তালাইমারী মোড় থেকে গ্রেপ্তার করে। এসময় আসামি জেসমিনের কাছ থেকে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া ২ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নগরীর মতিহার থানায় মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।