বিডি ঢাকা ডেস্ক
আপনজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে শনিবারও ঢাকা ছেড়েছে মানুষ। সড়ক ও নৌপথে অনেকটা নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছতে পেরেছেন তারা। তবে ঈদযাত্রার চতুর্থ দিন সকাল থেকেই ট্রেন ছেড়েছে দেরিতে। এতে তীব্র গরমে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন।
সূচি অনুযায়ী, চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস বেলা পৌনে ২টায় কমলাপুর ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এটি ছাড়ে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট দেরিতে বেলা ৩টায়। সংশ্লিষ্টরা জানান, ট্রেনটি ঢাকায় আসার পর ইঞ্জিনের কাজ করানো হয়। এতে ছাড়তে দেরি হয়েছে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে দেখা যায়, যাত্রীরা গরমে হাঁসফাঁস করছেন। মাথার ওপর ফ্যান চললেও অনেকে হাতপাখা দিয়ে গরম সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। নারী ও শিশুদের কষ্ট বেশি। তবে ঈদযাত্রার প্রথম তিন দিন স্বস্তিতে ভ্রমণ করেছেন ট্রেনের যাত্রীরা।
নৌপরিবহণ সংশ্লিষ্টরা জানান, শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪৮টি লঞ্চ সদরঘাট থেকে ছেড়ে গেছে। আরও ২০টি লঞ্চ অপেক্ষমাণ ছিল। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫৬টি লঞ্চ এদিন ঢাকায় ভিড়েছে। সাধারণ সময়ের চেয়ে যাত্রী বাড়লেও প্রত্যাশার চেয়ে কম বলছেন লঞ্চ মালিকরা।
সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি নামলেই ব্যবস্থা : ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) জোর তৎপরতা শুরু করেছে। শনিবার গাবতলী টার্মিনাল পরিদর্শন করে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেছেন, ঈদে আনফিট গাড়ি নামার সুযোগ নেই। কেউ যদি বের করে, সেটি জানালে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তিনি বলেন, ঈদের সময় কিছু আনফিট গাড়ি রাস্তায় নেমে আসে, এমন একটি কমন অভিযোগ থাকে প্রতিবছরই। এবার কোনোভাবেই যাতে আনফিট গাড়ি রাস্তায় নামতে না পারে, এজন্য আমরা বিআরটিসির ৫৫০টি বাস রিজারভেশনে রেখেছি। এছাড়া গার্মেন্টস মালিকদের রিকুইজিশন দিতে বলেছি, যাতে আনফিট গাড়ি না নিয়ে বিআরটিসির বাস নিতে পারে। সুতরাং এখানে আনফিট গাড়ি রাস্তায় নামার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, টার্মিনালগুলো পরিদর্শন করেছি। গাবতলী টার্মিনালে আমাদের মোবাইল কোর্ট, ভিজিলেন্স টিম, মনিটরিং টিম কাজ করছে। রুট ভুল লেখায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করতে বলেছি। এখানে যাত্রীরও তেমন ভিড় নেই, পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও নেই।