বিডি ঢাকা ডেস্ক
চুয়াডাঙ্গা জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন ওষ্ঠাগত। এপ্রিল মাসে এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাপ প্রবাহের প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের ওপর। ঈদের পর তাপপ্রবাহের ফলে খেটে খাওয়া কর্মজীবী মানুষ তাদের কর্মে ঠিকমতো ফিরতে পারছেনা।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ২৭ শতাংশ।
এ সময় রোদ যেন আগুনের ফুলকি হয়ে ঝরছে। আগুন ঝরা রোদের তেজে বাইরে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে। এ অবস্থা বিরাজ করছে সুর্য একেবারে পাটে পড়ার আগ পর্যন্ত।এর আগে দুপুর ১২ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সকাল ৯ টায় ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৪৩ শতাংশ।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫০ শতাংশ। এদিন দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস,সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫১ শতাংশ। বিকাল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৩ শতাংশ। প্রতিদিন বেলা বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে তাপমাত্রাও পারদও বেড়ে যাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ৩৭/৩৮ ডিগ্রীর তাপমাত্রা বিরাজ করছিল।
আজ মঙ্গলবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মওসুমের সর্বোচ্চ। তীব্র তাপদাহ শুরু হয়েছে। দু’তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। ফলে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
তিনি আরো জানান, এপ্রিল মাস জুড়ে তাপপ্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে এ আবহাওয়া বিরাজ করার সম্ভবনা রয়েছে।