অনলাইন নিউজ : রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সোমবার পুলিশের ধাওযা পল্টা ধাওয়া হয়েছে। এসময় রাজধানীতে ২৪ জনসহ বিভিন্ন স্থান থেকে অনেককে আটক করা হয় বলে জানা গেছে।
এছাড়া, গণেগ্রেপ্তারের মাধ্যমে শিক্ষার্থী হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের। অপরদিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কসহ ১৫ জনকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগ বলে জনা গেছে। আর বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষোভকারীরা।
রাজধানীর পল্টন, মিরপুর ১০, ইসিবি চত্বর ও ধানমন্ডি ২ নম্বর সড়কের স্টার কাবাবের সামনে থেকে ২৪ জনকে পুলিশ আটক করেছে। এছাড়া পল্টন ও ইসিবি চত্বরে আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপরে এসব ঘটনা ঘটে।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (কোটা সংস্কার) নেতারা দাবি করেছেন, পল্টন মোড়ে বিক্ষোভের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সহ-সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক ও রাফিসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এই বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণার পর আজ রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়। এছাড়া র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হেলিকপ্টারের টহল সেনাবাহিনীর সদস্যদের রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে টহল অব্যাহত ছিল।
গতকাল রোববার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়ক এক ভিডিও বার্তায় শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন। পরে অন্য সমন্বয়কদের মধ্যে কয়েকজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সোমবার বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
বিক্ষোভ কর্মসূচির সময় মিরপুর ১০ নম্বরের গোলচত্বর থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সি ছাব্বীর আহম্মেদ।
এছাড়া ধানমন্ডির ২ নম্বর সড়কের স্টার কাবাবের সামনে থেকে ১০ জনকে আটকের বিষয় নিশ্চিত করেছেন নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার মো. রেফাতুল ইসলাম।
ইসিবি চত্বরে দায়িত্বরত এক পুলিশের কর্মকর্তা বলেন, কয়েকজন বিক্ষোভকারী গলির ভেতর থেকে ইটপাটকেল ছুড়ছিল। পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাদের সরিয়ে দেয় ও কয়েকজনকে আটক করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১১টার পর থেকে ইসিবি চত্বরে জড়ো হতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এ সময় কয়েকজনকে আটক করতে দেখা গেছে।
এদিকে, কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের প্রতিটি দাবি সমর্থন জানিয়ে হত্যা, গুম আর গণগ্রেপ্তারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ এবং আটককৃতদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক সমাবেশ’ ব্যানারে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়। সমাবেশের শুরুতে আন্দোলনের নিহত হওয়াদের ‘শহীদ’ উল্লেখ করে তাদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এছাড়াও সমাবেশ থেকে চলমান আন্দোলনে নিহত ও হত্যাকান্ডের ঘটনাকে ‘জুলাই হত্যাকাণ্ড’ নামে ডাকার জন্য আহবান জানানো হয়।
এদিকে সোমবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কসহ আটককৃত সকলের নিঃশর্ত দাবিসহ ৪ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক এসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন।
বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
তাদের দাবিগুলো হলো- কেন্দ্রীয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে, কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের উপর নৃশংস অত্যাচারের বিচার করতে হবে এবং তাদের মুক্তি দিতে হবে একই সঙ্গে সারা দেশে শহীদদের হত্যার পেছনে জড়িতদের অবিলম্বে বিচার করতে হবে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর মামলা এবং গণ গ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে।
কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক সোহাগী সামিয়া বলেন, আমরা একটা যৌক্তিক আন্দোলনে নেমেছি। আমরা আলোচনা করতে চেয়েছি কিন্তু এই স্বৈরাচারী অবৈধ সরকার তার লেজুড়বৃত্তিক ক্যাডার ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করতে। আন্দোলনে তার সশস্ত্র বাহিনী দিয়ে আমাদের প্রতিহত করতে এসেছে। সকল দল, মত, পেশা নির্বিশেষে সবাইকে বলতে চাই এই আন্দোলন জনগণের আন্দোলন, সবাইকে আহব্বান করছি এই যৌক্তিক আন্দোলনে শামিলা হওয়ার।
আরেক সমন্বয়ক জাহিদুল ইসলাম হামলায় অংশগ্রহনকারীদের নব্য পাকিস্তানি স্বৈরাচার উল্লেখ করে বলেন, আমরা দেখেছি কাশ্মীরে ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যা করছে, ফিলিস্তিনের গণহত্যা করেছে, বাংলাদেশেও এই স্বৈরাচার সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে গনহত্যা চালাচ্ছে। ডিবি পুলিশের আস্ত্রের মুখে আন্দোলন বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে, সেটা আমরা মানি না। তাদের আগে মুক্তি দেওয়া হোক, তারপর আমরা আমাদের সম্মিলিত দাবি পেশ করবো।
এ সময় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম রব্বানি বলেন, আমি একজন শিক্ষক, আমার যে শিক্ষার্থীদের হত্যা করা হয়েছে আমি তার বিচার চাই। আমি চাই শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ঘুমাক, নিরাপদে থাকুক, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসুক, ক্লাসে ফিরে আসুক।
অপরদিকে, চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের হয়েছে। এক পর্যায়ে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় তিনজনকে আটক করে পুলিশ। আটকদের মধ্যে একজন চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
সোমবার বিকেল ৩টায় নগরের জামালখানে প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি করার কথা বলেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর আগেই ওই এলাকায় পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন। ফলে সেখানে কোনো শিক্ষার্থী জড়ো হতে পারেনি।
বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে চেরাগী পাহাড় মোড়ে অবস্থান নিয়ে ২০–৩০ জন বিক্ষোভকারী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় পুলিশ দুজনকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তুলতে চাইলে বিক্ষোভকারীরা বাধা দেন। তারা প্রিজন ভ্যানের সামনে সড়কের ওপর বসে পড়েন। তবে পুলিশ আটকদের নিয়ে যায়।
এছাড়া, দুপুর ৩টার দিকে নগরের কাজীর দেউরি এলাকায়ও জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। ঘটনাস্থলের পাশে আগে থেকেই মোতায়েন করা পুলিশ সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। পরে সেখানে সেনাবাহিনীর কয়েকটা গাড়ি এসে অবস্থান নেয়।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী তারেক আজিজ বলেন, এমনিতে সভা-সমাবেশ করলে পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু তারা পুলিশ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। এছাড়া, কারফিউ চলাকালে শিথিল থাকলেও কোনো সভা-সমাবেশ করা যায় না। কেউ যদি আইন ভঙ্গ করে কর্মসূচি পালন করে পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে আইনিভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করবে।
অন্যদিকে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারসহ ৯ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিনোদপুর বাজারে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে পথসভা করেন শিক্ষার্থীরা।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ‘বুকের ভেতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর’, ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘আবু সাঈদ মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে, আমাদের হল বন্ধ কেন, প্রশাসন জবাব চাই’—এমন সব স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অংশ নিয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকিব বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। ঠান্ডা মাথায় মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং রাষ্ট্রজুড়ে যে অরাজকতা তৈরি করা হয়েছে, তা শুধু যে আমাদের ব্যথিত করেছে তা নয়, আমরা বিক্ষুব্ধ। আমি ছাত্র-ছাত্রীদের বলতে চাই, শুধু এখন নয়, সারা জীবন তোমরা ন্যায্যতার পথে থাকবে। তোমরা সুবিচারের পক্ষে আছো, ন্যায়বিচারের পক্ষে আছো, ন্যায়ের পক্ষে আছো। তোমাদের সাহস ও দৃঢ়তা দেখে শিক্ষক হিসেবে আমি গর্ববোধ করি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবি সমন্বয়ক মেহেদী হাসান সজীব বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের তুলে নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে জিম্মি করে অস্ত্রের মুখে স্ক্রিপ্টেড বিবৃতি দিয়ে ছাত্রসমাজের দাবিগুলোর প্রতি সরকার চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। শুধু তাই নয়, সারা দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও ছাত্রলীগ-সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত শহীদদের পরিবারকে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে, আর্মড ফোর্স ব্যবহার করে ঢাকায় এনে সরকার তাদের থেকে মিথ্যা জবানবন্দি নেওয়া এবং সমস্ত দায় আন্দোলনকারীদের ওপর চাপিয়ে শহীদদের রক্তের সঙ্গে তামাশা করেছে। আমরা এত দিন চুপ ছিলাম, এখন আর নয়। আন্দোলন চলবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতেখারুল আলম মাসউদ, সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক মো. জামিরুল ইসলাম ও মো. সাইফুল ইসলাম কর্মসূচিতে একাত্মতা জানিয়ে অংশ নেন। কর্মসূচির চলার সময় সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এছাড়া সোমবার দুপুরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচির প্রস্তুতি আলোচনায় ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। এতে আন্দোলনরত ১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুজয় শুভ বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে আমাদের পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারনে আমরা ২০ জন শিক্ষার্থী মিটিং করছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতা এ.কে আরাফাতের নেতৃত্বে ২০/৩০ জনের একটি দল লাঠি, রড ও পাইপ দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা দুই দফায় আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে ১৫ জনকে আহত করে।
হামলাকারীদের মধ্যে ছাত্রলীগের কর্মী মাহমুদুল হাসান তমাল, আল সামাদ শান্ত, খালেদ হাসান, শাহরিয়ার সান, সাব্বির, জাইফ, সাইফ, শরিফুল ইসলাম, রাকিবুল ইসলামকে আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি জানিয়ে তিনি বলেন, সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন ও র্যাব উপস্থিত ছিল। তাদের সামনেই আমাদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়েছে। তারা কিছুই করেনি।
আহতদের মধ্যে ৯ জন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে জানানো হয়। এরমধ্যে সমন্বয়ক সুজয় শুভ, সিরাজুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান সজিব, সুজন মাহমুদ, ভূমিকা সরকার, সেজুতি গুরুত্বর আহত হয়েছেন।
বরিশাল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহমান মুকুল বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকর্মীরা ক্যাম্পাসে মিটিং করছিল। তাদের মিটিং শেষ পর্যায়ে কিছু শিক্ষার্থী গেট দিয়ে প্রবেশ করে। এদের উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তারা ছাত্রলীগকর্মী কিনা তা বলতে পারছি না।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আরিফ বলেন, কতজন ছাত্রকে তুলে নিবে? আমরা সারা দেশের ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে এসেছি। আমাদের ৮ দফা দাবী বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না।