বিডি ঢাকা ডেস্ক
আওয়ামী লীগের শাসনামলে করা বিতর্কিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধির (বিশেষ বিধান) আইনের অধীন চলমান সব কার্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে বিভিন্ন পক্ষের দেয়া জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবনাও স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রবিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আলাদা আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্ত জানানো হয়। মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব বিবেচনা স্থগিতের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) আইনের আওতায় সরকার কর্তৃক জ্বালানির মূল্য বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বা হতে পারে। তাই এই ধারার অধীনে মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব বিবেচনা আপাতত স্থগিত থাকবে।
অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে উত্থাপিত বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধিত-২০২১) এর কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এই আইনের অধীনে চলমনা সব ধরণের নেগোসিয়েশন, প্রকল্প বাছাই/প্রক্রিয়াকরণ এবং ক্রয় প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রম আপাতত বন্ধ থাকবে। তবে এই আইনের অধীনে ইতোমধ্যে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
জ্বালানি উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল্লাহ জনকণ্ঠকে বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এর আগে গত বুধবার এর আগে গত বুধবার সচিবালয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে করা বিতর্কিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন বাতিল করা হবে।
তিনি তখন বলেছিলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ড. ইউনূস স্যারের অধীনে রয়েছে। আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্যারকে এটা বলবো। আমি বিশ্বাস করি, খুব দ্রুত এটা বাতিল করা হবে। এর প্রেক্ষিতেই আজকের এই সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করছেন সংশ্লিষ্টরা।