সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার রোধে সব পক্ষেরই সচেতনতা দরকার : আলোচনা সভায় অভিমত ক্ষতিপূরণ দাবি বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ ৫৯৫ টাকা কেজি দরে দিনে ১ কোটি টাকার গরুর মাংস বিক্রি করেন খলিল ঢাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পল্লী বিদ্যুতের ৭ জন বরখাস্ত ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের কর্মসূচি স্থগিত ন্যাশনাল মেডিকেল, সোহরাওয়ার্দী ও নজরুল কলেজে হামলা- ভাঙচুর, পরীক্ষা স্থগিত বরাদ্দের মধ্যেই দিবস পালন করতে হবে : জেলা প্রশাসক চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় আবদুল ওয়াহেদ নেতৃত্বাধীন প্যানেলের

মালয়েশিয়া যাওয়া কর্মীদের রেমিট্যান্সের জোয়ার!

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২০ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডেস্ক

 

 

 

মালয়েশিয়ায় দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর জন্য উন্মুখ হয়ে আছে বাংলাদেশ। এই শ্রমিকরা স্বল্প খরচে মালয়েশিয়া যেতে পারলে সেখানকার শ্রমিক সংকট নিরসন ও তাদের অর্থনীতিতে যেমন অবদান রাখতে পারবে তেমনি বাংলাদেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাতে পারবে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে মাত্র ২২ মাসে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৫০০ শ্রমিক মালশিয়ায় গিয়েছে। এই অভিবাসী শ্রমিকরা দেশের জন্য গত  ৩ বছরে গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। বিগত শেখ হাসিনা সরকারের অদূরদর্শীতায় মালয়েশিয়া সরকারের  সমঝোতা স্মারক প্রস্তাবে রাজী হয়ে সীমিত এজন্সি দিয়ে কর্মী পাঠিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম আর দুর্নীতি দায়ভার নিতে হচ্ছে এখন রিক্রুটিং এজেন্সিদের। বায়রা সদস্যদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। এর পুরোটার জন্য দায়ী দুই সরকারের তথকালীন মন্ত্রী এবং সচিব। তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত বলে মনে করেন সাধারণ বায়রা সদস্যরা।

সংশ্লিস্টরা জানিয়েছেন, বিদ্যমান সমঝোতা স্মারকের আওতায় ২০২২ সালের ৮ই আগষ্ট থেকে ২০২৪ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ২২ মাসে পৌনে ৫ লাখ বাংলাদেশী কর্মী মালয়েশিয়ায় গমন করেছে। বিশাল এই অভিবাসন প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণরূপে অনলাইন ভিত্তিক ও স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার পদ্ধতি হওয়া কোন কর্মী মালয়েশিয়ায় গিয়ে প্রতারিত হননি।

তারা যথাযথ নিয়মে নিয়োগকারী কোম্পানিতে কাজ পেয়েছেন। এসব শ্রমিকরা ব্যাংকের মাধ্যমে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন এবং সেটা রেমিটেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছেন। ওই  ২২ মাসে যাওয়া শ্রমিকরা ন্যূনতম ১৫শ’ রিঙ্গিত মূল বেতন এবং ওভারটাইমসহ মাসে বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা বেতন- ভাতা পাচ্ছেন।

এই হিসেবে তারা মাসে প্রায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা এবং বছরে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা দেশে পাঠাচ্ছেন। যদি আরো ৫০০ এজেন্সি এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে পারতো তাহলে কোন বিতর্কই থাকতোনা। তবে ১১০০ সহযোগি এজন্সি এই প্রক্রিয়ায় পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিল বলে সংশ্লিষ্টরা  জানান।

পুরানা পল্টনের একটি জনশক্তিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক রবিউল ইসলাম জানান, মালয়েশিয়া যাওয়া শ্রমকিরা সেখানকার কাজের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কর্মীদের প্রায় সবাই ভালো আছেন। অধিকন্তু মালয়েশিয়া সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ কর্মীদের চুক্তি মোতাবেক সকল প্রকার অধিকার ও কল্যাণ আন্ত:রিকতার সঙ্গে নিশ্চিত করেছেন। ওই ২২ মাসে বড় সংখ্যক শ্রমিক মালয়েশিয়ায় কাজে যোগদানের পর বাংলাদেশে বৈদেশিক রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।

বর্তমানে বৈদেশিক রেমিট্যান্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে মালয়েশিয়া ৮ম থেকে ৪র্থ স্থানে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে শুধুমাত্র ২০২৪ সালের আগষ্ট মাসে মালয়েশিয়া হতে প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২৫১ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

জানা গেছে, ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনায় সম্পূর্ণ বিনা খরচে ৩৫৮ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়েছে। তাদের নিয়োগকারী কোম্পানি সকল অভিবাসন ব্যয় বহন করেছে এবং আমাদের এজেন্সিকেও ব্যাংকিং চ্যানেলে মালয়েশিয়া হতে রিক্রুটিং চার্জ পরিশোধ করেছে।

বর্তমান ধাপে মালয়েশিয়ায় গমনকারী পৌনে পাঁচ লাখ কর্মী ও পরিবার-পরিজন মিলে অন্তত: ২৫ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হয়েছে। তারা আরও জানান, মালয়েশিয়া সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ১০১টি এজেন্সিসহ সহযোগী এজেন্সি এবং নিয়োগকারীর পাওয়ার অব অ্যাটর্নীর মাধ্যমে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রায় ১১০০ রিক্রুটিং এজেন্সি বর্তমান ধাপের মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছে।

একজন রিক্রুটিং এজেন্সি মালিক বলেস, কোন একটি দেশে কর্মী প্রেরণকারী এজেন্সির বিরুদ্ধে দেশের অভ্যন্তরে দুদক বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দফায় দফায় তদন্ত অথবা গণমাধ্যমে অপপ্রচার নিয়োগকারী দেশে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এর ফলে ওই দেশে কর্মীদের অভিবাসন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হয়।

সরকারের এ্যালোকেশন অব বিজনেস মোতাবেক জনশক্তি রপ্তানি খাতের সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় হচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন তদন্তে যারা ভালো ব্যবাসায়ী তাদেরকে সহযোগিতা ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ, তদন্ত করা উচিত। বিদ্যমান আইনের আওতায় তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হয়ে এই সেক্টরে বর্তমানে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে তা দূর হবে এবং দ্রুতই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারটি বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য শীঘ্রই পুনরায় উন্মুক্ত হবে বলে আশা করা যায়।

বায়রার সাবেক সাধারণ সম্পদক আলী হায়দার চৌধুরী জানান, মালয়েশিয়া প্লান্টেশন ও কৃষি খাতে বিদেশি কর্মীর চাহিদা প্রচুর। মালয়েশিয়ান সরকারের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে সে দেশের শ্রমিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কর্মীদের নেওয়ার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, বর্তমান সরকার মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর বিষয় সবসময় আন্তরিক। আমরা ওই দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com