বিডি ঢাকা ডেস্ক
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা করা হবে আগামী ১৫ অক্টোবর। বেলা ১১টায় স্ব স্ব বোর্ড এই ফল প্রকাশ করবে। তবে এবার কেন্দ্রীয়ভাবে ফল প্রকাশ করা হবে না।
সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার জনকণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রধান উপদেষ্টা বা শিক্ষা উপদেষ্টা ফল উদ্বোধন করবেন না। স্ব স্ব বোর্ড এইচএসসির ফল প্রকাশ করবে। কেন্দ্রীয়ভাবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড এগুলো সমন্বয় করে গণমাধ্যমে জানাবে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেসব পরীক্ষা বাতিল হয়েছে তার এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে (বিষয় ম্যাপিং) এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফল নির্ধারণ করা হবে। এ প্রক্রিয়ায় একজন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে একটি বিষয়ে যত নম্বর পেয়েছিল, এইচএসসিতে সেই বিষয় থাকলে তাতে এসএসসিতে প্রাপ্ত পুরো নম্বর বিবেচনায় নেওয়া হবে। আর এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় বিষয়ে ভিন্নতা থাকলে বিষয় ম্যাপিংয়ের নীতিমালা অনুযায়ী নম্বর বিবেচনা করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
বোর্ড চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার জানান, আমাদের করোনাকালীন ফল প্রকাশের অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি, টেবুলেশন ও মাঝপথে পরীক্ষা বাতিল হওয়ার বিষয়ে বোর্ডের সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে। নীতিমালা মেনেই বোর্ড ফল প্রকাশ করবে। তিনি আরও বলেন, এসএসসিতে যে শিক্ষার্থী বিজ্ঞানে পড়ত। পরে যদি আটর্সে পড়ে তার ক্ষেত্রেও কোন অসুবিধা হবে না। উদাহরণ দিয়ে তিনি জানান, সেক্ষেত্রে বিজ্ঞানের পদার্থ বিদ্যায় সে যে নম্বর পেয়েছে কলেজ পর্যায়ে দেখা যাচ্ছে পদার্থ বিজ্ঞানের বদলে পৌরনীতি নিয়েছে। আমরা পদার্থ বিজ্ঞানের নম্বরটাই সমন্বয় করবো।
ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবুল বাশার জনকণ্ঠকে জানান, সামাজিক মাধ্যমসহ নানা জায়গায় ফল প্রকাশের বিষয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমরা সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহবান জানাই। তিনি বলেন বোর্ডের কর্মকর্তারা ফল প্রস্তুতিতে দিন-রাত সবাই কাজ করছেন। আশাকরি আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে ফল সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে যাবে।
এবার ১১টি বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সাড়ে ১৪ লাখ শিক্ষার্থী। পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ জুন। তবে বন্যার কারণে সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ৯ জুলাই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে স্থগিত হওয়ার আগে ছয় থেকে সাতটি পরীক্ষা হয়েছিল। বাকি বিষয়গুলোর লিখিত এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা বাকি ছিল। কয়েক দফা স্থগিত হওয়ার পর ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষাগুলো শুরুর কথা ছিল। কিন্তু ২০ আগস্ট শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে বাকি পরীক্ষা বাতিল করে সরকার।