বিডি ঢাকা ডেস্ক
উপজেলার সঙ্গে ইউনিয়ন এবং ইউনিয়নের সঙ্গে উপজেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করার জন্য কাজ চলছে তিন প্রকল্পের অধীনে। বিশ্ব ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বর্ধিত সড়ক প্রকল্প তিনটি সম্পন্ন হলে বদলে যাবে পশ্চিম বগুড়ার অবহেলিত এই উপজেলার গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক অবস্থা। কিন্তু সড়কের বর্ধিতকরণ কাজের বিভিন্ন অংশে থাকা দুই শতাধিক গাছ বন বিভাগ অপসারণ না করাসহ একাধিক কারণে কাজ চলছে ধীরগতিতে।
নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। জানা গেছে, পতিত হাসিনা সরকারের শেষ সময়ে প্রকল্প তিনটি হাতে নেওয়া হয়। প্রকল্প তিনটি হলো বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে কুন্দুগ্রাম ইউনিয়নের বশীকোড়া তিনমাথা ভায়া বিহিগ্রাম-চাঁপাপুর ইউনিয়ন সদর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার, বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে চাঁপাপুর ইউনিয়ন সদর থেকে চৌমুহনী সড়কের আদমদীঘি অংশে প্রায় সাত কিলোমিটার এবং নসরতপুর ইউনিয়নের নসরতপুর-দুর্গাপুর ভায়া কুন্দুগ্রাম ইউনিয়ন পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার। এরমধ্যে প্রথমটির কাজের উদ্বোধন করা হয় চলতি বছরের মার্চ মাসে। কিন্তু বর্ধিতকরণ কাজে সড়কের দুই পাশের ৬ ফুট বেড কাটতে গিয়ে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ওই সব গাছ। ফলে সেসব স্থানে কাজ বন্ধ রাখা হয়।
আবার গাছবিহীন জায়গাগুলোতে বেড কাটা হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরার সাব ঠিকাদার বাদল সিদ্দিকী গত প্রায় ছয় মাস ধরে ডব্লুবিএম কাজ না করায় আগাছার জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি এই প্রকল্পের বশীকোড়া তিনমাথা থেকে দক্ষিণে কড়ই গ্রামের আকন্দপাড়া পর্যন্ত কাজ শুরু করা হয়েছে। কিন্তু বন বিভাগ এখনো গাছগুলো অপসারণ করেনি। ফলে অনেক গাছ থাকছে সড়কের বর্ধিত অংশের ভেতরে। এই গাছগুলো দ্রুত অপসারণ করা না হলে ওই এলাকার তিন ইউনিয়নের লাখো মানুষের সুফল পেতে অন্তত প্রায় আরও ছয় মাস ধরে অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন এলাকার সচেতনমহল।
এদিকে সড়কের বশীকোড়া গ্রাম থেকে কড়ই গ্রামের আকন্দপাড়া, বেজার এবং কাঞ্চনপুর গ্রামের প্রায় চার কিলোমিটার সড়কে অসংখ্য বড় বড় গর্ত এবং ভাঙ্গা থাকায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা প্রকৌশলী রিপন কুমার সাহা বলেন, এই কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোনো দোষ নেই বললেই চলে। সড়কের বর্ধিতকরণ অংশের গাছগুলো সময়মতো অপসারণ না হওয়া এবং কাজের প্রধান উপকরণ বালু সংকটে কাজ করতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, উপজেলা বন বিভাগের দায়িত্বে থাকা আগের কর্মকর্তার ঢিলেমি এবং অসহযোগিতার কারণে এমনটি হয়েছে। তবে সড়কের ভেতরে গাছ রেখে কার্পেটিং কাজ করা হবে না।