বিডি ঢাকা ডেস্ক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেওয়ার পর থেকেই দেশে একের পর এক পেশাজীবীরা বিভিন্ন দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ ও ধর্মঘট পালন করে আসছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন নৌকার মাঝিরাও। চট্টগ্রামে পেশাদার পাটনিজীবী (সাম্পান মাঝি) নীতিমালা ও হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) সদরঘাট, অভয়মিত্রঘাট ও বাংলাবাজার ঘাটে বহিরাগতদের খাস আদায়ের দায়িত্ব দিয়েছে। এর প্রতিবাদে কর্ণফুলী নদীর ৫ ঘাটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বৈঠা বর্জন ও অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছে কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত সংগঠন।সোমবার সকাল ৬টা থেকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর এসব ঘাটে সাম্পান চলাচল বন্ধ রেখেছেন ১২ শতাধিক সাম্পান মাঝি। নগরীর চরপাথরঘাটা, অভয়মিত্রঘাট, সাম্পান ঘাট, ইছানগর বাংলাবাজার ঘাট ও ইছানগর সদরঘাটের সকল সাম্পান মাঝি সকাল থেকে তাদের সাম্পান নিয়ে কর্ণফুলী নদীতে অবস্থান ধর্মঘট করতে থাকেন। এ সময় উভয় তীরের হাজার হাজার যাত্রী চরম বিপাকে পড়েন। কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের উপদেষ্টা আলীউর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, সরকারি পাটনিজীবী নীতিমালা অনুযায়ী বৈঠা যার ঘাট তার; এই নীতিমালা পূর্বের মতো বহাল করা না হলে কর্ণফুলীর সকল ঘাটে অনির্দিষ্টকালের জন্য যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকবে। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে হাইকোর্টে রিট মামলার আদেশ অনুাযায়ী পাটনিজীবী নীতিমালার ভিত্তিতে কর্ণফুলীর সাম্পান ঘাট ইজারা দেওয়ার বিষয়টি মীমাংসিত। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা হাইকোর্টের আদেশের তোয়াক্কা না করে হঠাৎ বহিরাগত কিছু ব্যক্তিদের মাঝিদের ঘাট পরিচালনা করার দায়িত্ব দেন। উক্ত সংগঠনের সভাপতি এস এম পেয়ার আলী বলেন, ঘাট বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণে গেলে মাঝিরা রুটি রুজিহীন হয়ে পড়বে। এতে সাম্পান মাঝিরা তাদের পেশা হারাবে। আমরা কিছুতেই তা হতে দেব না। অচিরেই আইন অনুযায়ী আমাদের দাবি মানা হোক। না হয় ঘাটে যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকবে।