বিডি ঢাকা ডেস্ক
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে চিলমারী উপজেলা হেড কোয়ার্টার থেকে পাঁচপীর জিসি সড়ক পর্যন্ত এলাকায় সড়ক উন্নয়ন কাজে অনিয়ম ও কালক্ষেপণ করার অভিযোগ উঠেছে।
কাজ শুরুর ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও নিম্নমাণের সামগ্রী ব্যবহার করে মাত্র ২ কিলোমিটার রাস্তায় ৬০-৭০ শতাংশ কাজ দৃশ্যমান হলেও সিডিউলে থাকা প্যালাসাইটিং ও সিসি ব্লকের কাজ করা হয়নি।
দীর্ঘদিন কাজ না করায় রাস্তাটি মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
সরেজমিনে রাস্তাটি ঘুরে দেখা গেছে,পাকা অংশের রাস্তা বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দে নষ্ট হয়ে গেছে। কাঁচা অংশের কোথাও এখনও সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মাটির রাস্তার অংশে দায়সাড়াভাবে নিম্নমাণের সামগ্রী ব্যবহার করে মাত্র ২ কিলোমিটর এলাকার ৬০-৭০ শতাংশ কাজ করা হলেও সেখানে প্যালাসেটিং কিংবা সিসি ব্লকের কোন কাজ করা হয়নি। ফলে বিভিন্ন স্থানে রাস্তাটিতে ধসের সৃষ্টি হয়েছে।
এলজিইডি উপ-সহকারী প্রকৌশলী আতাউর রহমান জানান, রাস্তাটির কাজ চলছে তবে ধীর গতিতে। মাটির রাস্তার দুই পার্শ্বে প্যালাসাইটিং ও সিসি ব্লকের কাজ করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
কাজটি দীর্ঘদিন ধরে পরে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার রাশেদুল ইসলাম জানান, ওই রাস্তার কাজ ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য পড়ে আছে। কাজ করবো কি না তা সন্দেহ আছে। আমি কাজটি দ্রুত শেষ করতে চাই। আজ প্রায় ১ থেকে দেড় মাস হয় এক পার্শ্বের ডব্লিউএমএম শেষ হয়েছে। এক থেকে দেড় মাস হয় কাজটি বুঝে নিচ্ছেন না তারা।
রাস্তার দুই ধারে সিসি ব্লক এবং প্যালাসাইটিংয়ের প্রসঙ্গে তিনি জানান, মাটি শেষ হবে, স্যান্ড ফিলিং শেষ হবে, ডব্লিউএলএম শেষ হবে, তারপর কার্পেটিং ও ব্লক ফেলা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফিরোজুর রহমান জানান, আমরা প্রথমেই প্যালাসাইটিংয়ের কাজ করতে বলেছিলাম।
কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি জানান,আমরা কাজ করার জন্য কয়েকবার চিঠি দিয়েছি। নির্বাহী প্রকৌশলী ও পিডি স্যার ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছেন তারা কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন।