রাজশাহী শহর সংলগ্ন পদ্মার চরে অবাধে চলছে পরিযায়ী পাখি শিকার। চরগুলোর বেশ কিছু জায়গায় বিষটোপ দিয়ে এসব পাখি শিকার করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার আজ সকালেও টি-বাঁধ এলাকার চরে পাখি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এসময় তারা অন্তত ১০টি পাখি মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। স্থানীয়দের আসতে দেখে পালিয়ে যান পাখি শিকারিরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিকারের কারণে রাজশাহীর পদ্মায় ১৪ বছরে ১০ ভাগের এক ভাগ পাখি কমেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী নগরীর তালাইমারি পদ্মার চর থেকে টি-বাঁধ এলাকা পর্যন্ত অন্তত আটটি গ্রুপ পরিযায়ী পাখি শিকার করছে। তারা মাছের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে রাতের আঁধারে রেখে আসেন। পরে সেই খাবার খেয়ে পাখি অসুস্থ হয়ে পড়লে সেগুলো ধরে জবাই করে বিক্রি করছেন। রাজশাহীর বেশ কিছু বাজারে এসব পাখি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
টি-বাঁধ এলাকার একাধীক বাসিন্দারা জানান, ভোরের দিকে কিছু মানুষ চরে গিয়ে বিষ দেওয়া মাছ রেখে আসেন। সকালে পাখিরা এগুলো খেয়ে মরে পড়ে থাকলে তারা সেগুলো কুড়িয়ে নিয়ে জবাই করে বিক্রি করেন।
তারা আরও বলেন, ‘প্রতিদিন অন্তত ৫০-৬০টি পাখি শিকারিরা মেরে নিয়ে যান। ১০-১৫টি পড়ে থাকতে দেখা যায়। এগুলো শিকারিরা নিয়ে যেতে পারেন না।
এ বিষয়ে রাজশাহী বিভাগীর বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, পদ্মার চরে পাখি শিকারের বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। আমাদের অভিযান চলছে। শিকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, অবাধে নিধনের ফলে পাখিশূন্য হয়ে পড়ছে রাজশাহী। পাখিপ্রেমী ও গবেষকদের মতে, রাজশাহীতে এখন আগের মতো পাখি দেখা যায় না।