বিডি ঢাকা ডেস্ক
শিবালয় উপজেলার যমুনা নদীর স্পর্শকাতর পয়েন্টে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার দায়ে ড্রেজারসহ ৫ জনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) দুপুরে শিবালয় উপজেলার দুর্ঘম আলোকদিয়া চর সংলগ্ন ৭ ও ৮ নং বৈদ্যুতিক টাওয়ারের মধ্যবর্তী এলাকায় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এসএম ফয়েজ আহম্মেদ এ অভিযান পরিচালনা করেন। শিবালয় থানা পুলিশ ও কোষ্টগার্ড সদস্যরা অভিযানে সহায়তা করেন। আটককৃতদের বিরুদ্ধে শিবালয় থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
আটককৃতরা হচ্ছে- ঢাকার নারায়নগঞ্জ বন্দরের জালাল উদ্দিনের ছেলে মোঃ রিয়াদ হোসেন, সোনার গাঁয়ের কিতাব আলীর ছেলে শাহ-আলী, ফজলুল হকের ছেলে বিপ্লব মিয়া, সিরাজগঞ্জের সাদাতপুর উপজেলার হোসেন ব্যাপারীর ছেলে রাহুল হোসেন ও শিবালয়ের ত্রিলোচানপট্রির জহির উদ্দিনের ছেলে রাকিব হোসেন।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, বিগত সরকারের আমলে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক শিবালয়ের দক্ষিণ তেওতা মৌজাস্থ যমুনা বক্ষের প্রায় ১০ একর জায়গা বালুমহাল হিসেবে ইজারা প্রদান করে। মানিকগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার এ বালুমহাল ইজারা নেন। গত ৫ আগষ্টের পর তিনি আত্নগোপনে গেলে হাতবদলে অন্যরা ইজারাকৃত জায়গার পরিবর্তে প্রায় ৩ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে জাতীয় গ্রীডের বৈদ্যুতিক টাওয়ারের স্পর্শকাতর পয়েন্টে ড্রেজিং চালিয়ে বিপুল পরিমান বালু উত্তোলন করায় নদী তীরের বিভিন্ন অংশে ভাঙ্গণের সৃষ্ঠি হয়। নদী ভাঙ্গন রক্ষায় স্থানীয়রা মানববন্ধন কর্মসুচি পালনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।
শিবালয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম. ফয়েজ আহম্মেদ জনকণ্ঠকে বলেন, উপজেলার পদ্মা-যমুনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও ড্রেজার বাণিজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।