শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫৪ অপরাহ্ন

পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৭ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডেস্ক

 

 

 

পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাদ্য হিসেবে এক নম্বরে রাখা হয়েছে এই খাবারটিকে। মরুভূমিতে জন্মানো এই সুপারফুড এখন বাংলাদেশের যেকোনো মুদি দোকানে সহজেই পাওয়া যাচ্ছে।আপনি জেনে অবাক হবেন, দুধে থাকা ক্যালসিয়ামের পাঁচ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম রয়েছে এই বীজে। গবেষণা বলছে, কমলার তুলনায় এতে সাত গুণ বেশি ভিটামিন সি আছে। এছাড়াও, এটি পালংশাকের তুলনায় তিন গুণ বেশি আয়রন সরবরাহ করে।

পটাশিয়ামের অন্যতম প্রধান উৎস কলার তুলনায় চিয়া বীজে দ্বিগুণ পটাশিয়াম রয়েছে। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা সাধারণত শুধুমাত্র মাছ থেকে পাওয়া যায়, তা মাছের তুলনায় আট গুণ বেশি রয়েছে এই বীজে। এই কারণেই একে পৃথিবীর সবচেয়ে পাওয়ারফুল সুপারফুড বলা হয়।
চিয়া বীজের আদি জন্মস্থান সেন্ট্রাল আমেরিকা। প্রাচীন অধিবাসীদের কাছে এটি সোনার চেয়েও মূল্যবান ছিল এবং তারা বিশ্বাস করত যে এটি শক্তি ও সাহস বাড়ায়। দেখতে তিলের মতো, এই বীজ সাদা ও কালো উভয় রঙের হয়। এটি সব ধরনের আবহাওয়ায় জন্মাতে পারে এবং কোনো পোকামাকড় এর ক্ষতি করতে পারে না।

এই সুপারফুড খাওয়ার সাথে সাথেই শরীরে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং নিজেকে অনেক বেশি শক্তিশালী মনে হয়। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয় এবং ওজন কমাতে কার্যকর। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এটি সহায়ক কারণ এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এতে থাকা উচ্চমাত্রার ক্যালসিয়াম হাড় শক্তিশালী করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এটি পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে, ফলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

এছাড়াও চিয়া বীজ রাতে খেলে ভাল ঘুম হয়। হজমশক্তি বাড়াতেও এটি অত্যন্ত কার্যকর। এছাড়াও শরীরের যে কোনও অংশের ব্যথা কমাতে যথেষ্ট কার্যকর।শরীর থেকে বিষাক্ত টক্সিন পদার্থ বের করে দিতে এই বীজের ভূমিকা রয়েছে। এমনকি আমাদের চেহারার সৌন্দর্য চুল নখ। এসবের সৌন্দর্যের জন্য চিয়া বীজ অত্যন্ত ভূমিকা রাখে।
চিয়া বীজ খাওয়ার পদ্ধতি খুবই সহজ৷ আপনি চাইলে ব্লেন্ডারে কলা, খেজুর, বাদাম ইত্যাদির সাথে খুব মজা করে মিশিয়ে শরবত করে খেয়ে ফেলতে পারে। আপনি শুধুমাত্র চিয়া বীজ পানিতে ভিজিয়ে খেতে পারেন। তবে শরবত করে খেলে বেশি মজা পাওয়া যায়। সালাদ হিসেবে চিয়া বীজ খাওয়া যায়।

এছাড়াও নারিকেলের পানি বা পছন্দ মতো অন্য ফলের রসের সাথে দুই থেকে তিন চামচ পরিমাণ চিয়া বীজ মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। তবে মনে রাখবেন, দুই থেকে তিন চামচ এর বেশি চিয়া বীজ খেলে আপনার অ্যাসিডিটি বা গ্যাসট্রিকের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। কারণ এটি অনেক বেশি পরিমাণে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হওয়ায় অনেকের ক্ষেত্রে বেশি খেলে অ্যালার্জি হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com