শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৯ অপরাহ্ন

মান্দায় পেঁয়াজের ঝাঁজে কৃষকের মাথায় হাত

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৫ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডেস্ক

 

 

 

নওগাঁর মান্দায় মুড়িকাটা পেঁয়াজের ভরা মৌসুম চলছে। প্রতিদিন পাইকারি বাজারে ১৮শ থেকে ২ হাজার মণ পেঁয়াজের আমদানি হচ্ছে। প্রচুর আমদানি হওয়ায় হু হু করে কমছে দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিমণ পেঁয়াজে দাম কমেছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। ফুলকপির পর এবার পেঁয়াজের আবাদে ও ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষিরা।

চাষিরা বলছেন, এবার রোপণ মৌসুমে পেঁয়াজের কন্দবীজের দাম ছিল আকাশছোঁয়া। প্রতিমণ বীজ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা দরে। এতে এক বিঘা জমির জন্য বীজ কিনতে ব্যয় হয়েছে ৫০ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকা। এর পর জমিতে হালচাষ, সার-কীটনাশকসহ পরিচর্যায় ব্যয় হয়েছে আরও অন্তত ২০ হাজার টাকা। সবমিলিয়ে এক বিঘা জমিতে ব্যয় হয়েছে ৭০ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকা। প্রতিবিঘায় ফলন হচ্ছে ৪৫ মণ থেকে ৫০ মণ। বর্তমান বাজার দরে যা বিক্রি হবে ৫০ হাজার টাকায়। এতে করে প্রতিবিঘায় চাষিদের লোকসান গুনতে হবে অন্তত ২০ হাজার টাকা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধারাবাহিকভাবে কয়েক বছর ধরে পেঁয়াজের দাম ভালো পাওয়ায় চাষিরা এ চাষে বেশি ঝুঁকে পড়েছেন। এবারে উপজেলায় প্রায় ৪ হাজার বিঘা জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। এ চাষ থেকে এক লাখ ৮০ হাজার মণ পেঁয়াজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। বাজারদরের উন্নতি না হলে চাষিদের অন্তত ৮ কোটি টাকা লোকসানের শঙ্কা রয়েছে।

সরেজমিনে  দেলুয়াবাড়ি ,সাবাই,পাইকারি হাটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রকারভেদে প্রতিমণ মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২৫০ টাকা দরে। হাটে পেঁয়াজ কিনতে আসা বানিসর বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় এবারে কম বেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। চাহিদার তুলনায় আমদানি বেশি হওয়ায় বাজার ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের বাজারদর বাড়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

উপজেলার চকদেবীরাম এলাকার চাষি সাগর আলী বলেন,  হাটে আমি সাড়ে ৯ মণ পেঁয়াজ এনেছিলাম। বিক্রি করেছি ১২০০ টাকা মণ দরে। ভ্যানভাড়া ও খাজনায় প্রতিমণে খরচ হয়েছে ৫০ টাকা। এক বিঘা জমিতে আমার ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা লোকসান হবে। স্থানীয় পেঁয়াজ বাজারে থাকা অবস্থায় কিছুদিনের জন্য আমদানি বন্ধের দাবি করছি।

জানতে চাইলে ,মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, অনুকুল আবহাওয়ার কারণে এবারে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ ভালো হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই দরপতন হওয়ায় চাষিরা বিপাকে পড়েছেন। বাজারদর না বাড়লে ফুলকপির মত এ চাষেও চাষিরা লোকসানে পড়বেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com