সকালে উঠে ঈষদুষ্ণ এক গেলাস পানিতে লেবু না কি অল্প মধু মিশিয়ে খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল? মেদ ঝরাতে কী খাওয়া যায়, এ নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় থাকেন। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে খেলেও অনেক উপকার হবে শরীরের। লবণ-পানির সবচেয়ে ভাল ফল মেলে সর্দিকাশি হলে। এ ছাড়াও মানসিক অবসাদ দূর করে এক গেলাস ঈষদুষ্ণ জলে এক চিমটে লবণ। এমনকি, হজমের সমস্যা থাকলেও লবণ-পানিতেই মেলে সমাধান। তবে উচ্চ রক্তচাপ, সোডিয়ামের হেরফের বা কিডনির সমস্যা থাকলে সাবধান! চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কিন্তু এই পানীয় খাওয়া যাবে না।
পরিমিত পরিমাণে লবণ-পানি খেলে কী উপকার হবে?
১) শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা যদি কম হয়, তা হলে হাইপোনেট্রমিয়া হতে পারে। আবার পানির মাত্রা বেড়ে গেলেও শরীর বিগড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে দারুণ কাজ করবে লবণ-পানি।
২) হজমের সমস্যা থাকলে সবচেয়ে ভাল কাজ করে লবণ-পানি। ২০১০ সালের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, লবণ-পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে যেমন মুক্তি সম্ভব হয়, তেমনই পেটব্যথা, হজমের গোলমালের মতো শারীরিক কষ্ট থেকেও পরিত্রাণ সম্ভব। শুধু তা-ই নয়, লবণ-পানি নিয়মিত পানে পেট ভাল থাকে। হজমের ক্ষমতাও বাড়ে।
৩) এক চিমটে লবণ গরম পানিতে মিশিয়ে সকালে খান। মেদ ঝরাতে এটি সাহায্য করবে । গরম পানিতে লবণের মিশ্রণ শরীরের যাবতীয় টক্সিন বার করে দেয়।
৪) সামনেই গরমকাল। বাইরে বেরোলেই গলদঘর্ম দশা হয়। ঘাম, প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীরের পানি বেরিয়ে যায়। ক্লান্তি আসে। লবণ-পানি শরীরে ওই পানির ঘাটতি পূরণ করবে নিমেষে।
৫) ত্বকের জন্যও গরম পানিতে লবণ দারুণ কাজ দেয়। ব্রণের সমস্যা দূর করতে পুষ্টিকর খাবার যেমন জরুরি, লবণ-পানিও ভাল কাজ দেয়। নিয়মিত লবণ-পানি পানে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। সোরিয়াসিসের মতো অসুখে ভাল কাজ দেয় লবণ-পানি পান।
৬) দাঁতের যত্নেও লবণ-পানি খেতে পারেন। মাড়িতে ব্যথা হলে লবণ-পানি দিয়ে কুলকুচি করলে স্বস্তি পাওয়া যায়। আর লবণ-পানিল যদি নিয়মিত পানের অভ্যাস করা যায়, তা হলে দাঁত এমনিতেই ভাল থাকে।
৭) মানসিক অবসাদ কমাতে লবণ-পানি ভাল দাওয়াই। অস্থির মন শান্ত করতে ঈষদুষ্ণ পানিতে এক চিমটে লবণ মিশিয়ে খেলে উপকার মিলবেই। কর্টিসল, অর্থাৎ স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে লবণ-পানি।