বিডি ঢাকা ডেস্ক
বাজারে এখনো সংকট বোতলজাত সয়াবিন তেলের। এরই সঙ্গে বেড়েছে লেবুর দাম। রাজধানীর বিভিন্ন দোকান ঘুরেও বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে পারছেন না ক্রেতারা। আর কবে নাগাদ বাজারে সরবরাহ ঠিক হবে, সেটিও জানাতে পারছেন না বিক্রেতারা। এই অবস্থায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা সয়াবিনের দাম প্রতি লিটারে পাঁচ টাকা বেড়েছে। লেবুতে ডজনে বেড়েছে ২০-৩০ টাকা।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর খিলক্ষেত, কাওরানবাজার, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও তালতলা এবং মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিক্রেতারা জানান, গত নভেম্বর মাস থেকেই বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট চলছে। মাঝের সময়ে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আট টাকা বাড়ানোর পরে সরবরাহের সংকট কিছুটা কমেছিল। তবে রোজাকে সামনে রেখে চলতি মাসের শুরু থেকে আবার তীব্র হয়েছে এ সংকট।
খিলক্ষেত বাজারের মুদি বিক্রেতা জানান, ‘দোকানে এক লিটারের পাঁচটি ও পাঁচ লিটারের দুইটি সয়াবিনের বোতল আছে। যেসব ক্রেতা আগে থেকে বলে রেখেছেন, তাদের কাছেই এগুলো বিক্রি করা হবে। নতুন কাউকে দিতে পারছি না।’ একই অবস্থা দেখা গেছে আরও কয়েকটি বাজারেও।
রোজাকে সামনে রেখে বেড়েছে লেবুর দাম। ডজন ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে লেবু। এছাড়া মাঝারি সাইজের সিলেটি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে।
জানা গেছে, এক মাস আগেও যেই লেবু বিক্রি করা হয়েছে ৩০ টাকা দরে; তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। তবে লেবুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আগের তুলনায় বিক্রি অনেক কমেছে।
বিক্রেতারা জানান, যেখান থেকে তারা লেবু কিনে আনেন সেখানেই দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এজন্য তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। দাম বেশি শুনে অনেক ক্রেতা লেবু না কিনে চলে যায়। এক মাস আগেও এই লেবু তারা ৩০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।
আজকে বাজারে টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, দেশি গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিম ৩০-৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, পটোল ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, ধনেপাতা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ টাকা, ফুলকপি ২০ থেকে ২০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা দরে।
বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২৪০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা কেজি, দেশী মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা।