বিডি ঢাকা ডেস্ক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি দপ্তর দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব, ৩০ লাখ শহিদের আত্মত্যাগ আর ২ লাখ মা বোনের সম্ভ্রমের কথা স্মরণ করেন। পাশাপাশি ২০২৪ এর ছাত্রজনতার গণঅভুত্থানে নিহত ও আহতদের স্মরণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর চেতনায় দেশ গড়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামাঙ্কিত স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। এসময় জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শ্রদ্ধা জানান পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা, শ্রদ্ধা জানান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, জেলা পরিষদের প্রধান সির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফাজ উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম. শাহাব উদ্দিন, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, গণপূর্ত বিভাগ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, জেলা তথ্য অফিস, জেলা কারাগার, পানি উন্নয়ন বোর্ড, নেস্কো, জেলা নির্বাচন অফিস, সদর উপজেলা প্রশাসন, জেলা মৎস্যবিভাগ, জেলা খাদ্য বিভাগ, বিএমডিএ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।
সকাল ৯টায় আ.আ.ম. মেসবাহুল হক বাচ্চু ডাক্তার স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক। এসময় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করা হয়। অভিবাদন গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ ও পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।
সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয় এবং একই মঞ্চে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম। এসময় সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম. শাহাব উদ্দিন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা তরিকুল আলম, স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক উজ্জ্বল কুমার ঘোষ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাকিব হাসান তরফদার, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আব্দুর রাহিম উপস্থিত ছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রজনী গন্ধা ফুলদিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। আলোচনা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। এছাড়ও জেলা প্রশাসন আয়োজিত অন্যান্য কর্মসূচিও পালিত হয়।