তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের বিরুদ্ধে নৌকাবিরোধী অবস্থান ও নৌকা ডোবানোর অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে,বিগত ২০১৯ সালের ১০ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাঁমারগা ইউপির কচুয়া ভোটকেন্দ্রে দুর্বল হাতুড়ি প্রতিকের কাছে নৌকা বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়। অথচ কচুয়া গ্রামে সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুনের বাড়ি. এখানে আওয়ামী লীগের দুর্গ দেশ স্বাধীনের পর যেকোনো নির্বাচনে এখানে আওয়ামী লীগের এটাই প্রথম পরাজয়।কিন্ত্ত কেনো সম্পাদকের কেন্দ্রে নৌকার এমন ভরাডুবি-? তাহলে কি সম্পাদক নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছেন-? অপরদিকে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারী মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে একই ভাবে চুনিয়াপাড়া ভোটকেন্দ্রে বিপুল ভোটের ব্যবধানে দুর্বল স্বতন্ত্র প্রার্থীর জগ প্রতিকের কাছে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। অথচ এখানে সভাপতি গোলাম রাব্বানীর বাড়ি এবং নৌকার দুর্গ। তাহলে নৌকার ভরাডুবি হলো কেনো-? এর দায় নিবে কে-? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতির মনোনিত প্রার্থীর (নৌকা) বিজয় ঠেকিয়ে রাব্বানী-মামুন কি লাভবান হয়েছে-? না কি তারা জামায়াত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে ইত্যাদি হাজারো প্রশ্ন উঠেছে তৃণমুলে। আবার কেউ বলছে যারা মুন্ডুমালা নৌকা ডুবালো তারাই আবার তানোর নৌকা ভাসাতে তৎপর এর মাযে যা কি-? তাহলে মুন্ডুমালায় দেয়া নৌকা কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নয়, যদি সেটা না হয় তাহলে এরা মুন্ডুমালায় নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করে নৌকা ডোবালেন কেনো-? এদিকে সভাপতি ও সম্পাদকের নিজস্ব ভোটকেন্দ্রে দুর্বল প্রার্থীর কাছে নৌকার এমন ভরাডুবিতে রাজনৈনিতক অঙ্গনে ব্যাপক তোলপাড় সৃস্টি হয়েছে দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া জনমনেও নানা প্রশ্ন উঠেছে, তৃণমুল সভাপতি-সম্পাদকের বহিস্কারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, আগামি ১৪ ফেব্রুয়ারী তানোর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে গত ৩ ফেব্রুয়ারী বুধবার গোলাম রাব্বানী ও আব্দুল্লাহ আল-মামুন তানোর পৌরসভায় নৌকার গণসংযোগ করে। এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগের আদর্শিক নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে, তারা বলেন, তারা কি হরিবন্ধু যে রাব্বানী-মামুনের কথায় নাচবেন, তাদের এবার তারাও দেখাবেন নৌকার সঙ্গে বেঈমানী করে আওয়ামী লীগে থাকা যায় না। তাদের আগমনে আওয়ামী লীগে চরম বিভক্তি দেখা দিয়েছে। মুন্ডুমালা পৌরসভায় রাব্বানী-মামুনের অপতৎপরতায় নৌকা ডুবি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের আদর্শিক নেতাকর্মীরা রাব্বানী-মামুনকে স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিস্কারের দাবি করে কেন্দ্রীয় কমিটির দৃস্টি আকর্ষণ করেছে। এবিষয়ে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শরিফ খাঁন বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুর তার নিজ ভোটকেন্দ্রে নৌকার কাছে ১৪৭ ভোটে পরাজিত অথচ সভাপতি গোলাম রাব্বানীর নিজ ভোট কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে প্রায় ৬০০ ভোটে নৌকার পরাজয় ঘটে। এই হিসেব থেকে বোঝা যায়, সভাপতির অপতৎপরতায় তীরে এসে তার কেন্দ্রেই নৌকা ডুবেছে। তাই সভাপতি পদ থেকে তাকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ানোর আহবান জানান শরিফ খাঁন। এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মেয়র গোলাম রাব্বানী বলেন, তিনি ওই ভোট কেন্দ্রে অনেকক্ষণ বসে ছিলেন। তিনি বসে থাকার পরেও তার ভোট কেন্দ্রে কেনো বিপুল ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী নৌকাকে পরাজিত করে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, সাইদুর তার ব্যক্তিগত পরিচয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছে।তিনি বলেন, শপথ গ্রহণের পর তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হবে এবং আগামীতে সভাপতি পদ থেকেই এমপি নির্বাচিত হয়ে আরও একটি চমক দেখাবেন।