সুব্রত দাস, কলকাতা থেকে সংবাদদাতা : ট্রেড ইউনিয়ন এবং কৃষক সংগঠনগুলি ২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ৷ কিন্তু এই ধর্মঘটে পশ্চিমবঙ্গের জনজীবন সচল রাখতে সব রকম পদক্ষেপ করছে রাজ্য সরকার ৷ এদিকে সিটু আইএনটিইউসি সহ কেন্দ্রীয় সংগঠন গুলির নেতৃত্ব হুমকির সুরে জানিয়েছে, ধর্মঘট ভাঙার চেষ্টা করলে তা প্রতিরোধ করা হবে ৷
জানা যাচ্ছে, কলকাতা-সহ রাজ্য জুড়ে বাম-কংগ্রেসের সংগঠনগুলি পথে নামবে ৷ ফলে জনজীবন অচল হতে পারে ৷ তাই জনজীবন সচল রাখতে রাজ্য প্রশাসনও কোমর বেঁধে নামবে৷ মোতায়েন করা হবে প্রচুর পুলিশ বাহিনী ৷ রাস্তায় নামবে পর্যাপ্ত সরকারি ও বেসরকারি বাস ৷ চলবে পর্যাপ্ত অটো- ট্যাক্সি ৷
লালবাজার সূত্রে খবর, শহর কলকাতায় পাঁচ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে৷ থাকবেন ডিসি পদমর্যাদার অফিসারা৷ এছাড়া যেকোন পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য ১০টি কুইক রেসপন্স টিম প্রস্তুত থাকবে ৷ শহরের পাঁচটি জায়গায় রাখা হবে অ্যাম্বুল্যান্স ৷
এদিকে ২৬ নভেম্বরে ধর্মঘট ভাঙার চেষ্টা করলে তা প্রতিরোধ করা হবে । হুমকির সুরে এ কথা জানিয়েছেন সিটু আইএনটিইউসি সহ কেন্দ্রীয় সংগঠন গুলির নেতৃত্ব। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের আশা গোটা দেশে প্রায় ২০ কোটি মানুষ এতে শামিল হবে।
এখন সেই ধর্মঘট প্রশাসন ভাঙতে চাইলে প্রতিরোধ হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক বলে মনে করছেন বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃত্ব। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে সিটু রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু জানিয়েছেন, শ্রমিক-কৃষকেরা শখ করে এই ধর্মঘট ডাকছে না। মোদী সরকার তাদের জীবন দুর্বিষহ করে দিয়েছে বলেই এরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
এদিন রাজ্য সরকারের অর্থ দফতর বনধ নিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।