মো.হারুন অর রশিদঃ রাজশাহীতে অপহরণ মামলার আসামী আটক ও ভিকটিম উদ্ধারে সাফল্য দেখিয়েছে আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট।রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব আবু কালাম সিদ্দিক গত বছরের ১৭ এপ্রিল সাইবার ক্রাইম ইউনিট উদ্বোধনের পর থেকে সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহকারী কমিশনার জনাব উৎপল কুমারের নেতৃত্বে একের পর এক সাফল্য দেখিয়ে যাচ্ছে।এরই ধারাবাহিকতায় সাফল্য দেখিয়েছেন নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার অপহরণ মামলার ভিকটিম উদ্ধার ও আসামী গ্রেপ্তারে।জানা গেছে,রাজশাহী মহানগরীর বাংলাদেশ পলেটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৪র্থ বর্ষের এক ছাত্রীর সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয় জনৈক সুমা বেগমের।বন্ধুত্বের সূত্রে সুমা বেগম গত ৭ এপ্রিল নগরীর ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে বেড়াতে আসে।পরবর্তীতে গত ১১ এপ্রিল বিকেলে ওই ছাত্রীর কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন হড়গ্রাম কলোনীর বাসা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে সুমা বেগম।পরে শিক্ষার্থীর পরিবার মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।মামলাটি পুলিশ কমিশনার অবগত হবার পর পরই তিনি সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে ভিকটিম উদ্ধার ও আসামী গ্রেপ্তারে নির্দেশনা দেন।পরে ওই ইউনিটের সহকারী কমিশনার উৎপল কুমারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ভিকটিম উদ্ধার ও আসামী গ্রেপ্তারে কাজ শুরু করে।মামলার আসামী ও ভিকটিম কোন ফোন নং ব্যবহার না করায় শুধুমাত্র ফেসবুকের সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিম ও আসামীর অবস্থান সনাক্ত করে গত ১৮ এপ্রিল রাত ১১.৩০ মিনিটে বরিশালের হিজলা থানা পুলিশের সহায়তায় হিজলা থানার দূর্গমচর পূর্ব বোয়ালিয়া গ্রাম হতে ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামী সুমা বেগমকে আটক করে।আটক সুমা বরিশাল জেলার হিজলা থানার গুয়াবাড়িয়া গ্রামের,বতর্মানে গাজীপুরের গাছা থানার মোস্তফা মসজিদ রোডের আব্দুল আজিজ হাওলাদারের মেয়ে।আটক আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।