বিনোদন সংবাদদাতা : বাংলাদেশের স্থানীয় ফ্যাশনশিল্প খাত কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গত বছর বৈশাখ এবং ঈদে বিক্রি না হওয়ায় উদ্যোক্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাই বড় রকম ক্ষতির মুখে পড়েছে। এবারের পরিস্থিতি এখনো আশাবাদী হওয়ার মতো নয়। এই অবস্থায় এই শিল্প খাত নিয়ে কথা বললেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস, জয়া হাসান ও মডেল ও নৃত্যশিল্পী মৌ।
বিপ্লব সাহার হাত ধরে যাত্রা শুরু করা ফ্যাশন হাউজ বিশ্বরঙের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ফেরদৌস ১ মিনিট ৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন ফেরদৌস আহমেদ। এ বার্তায় তিনি ফ্যাশনশিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জন্য সবাইকে সমব্যথী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
ভিডিওর শুরুতে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান ফেরদৌস আহমেদ। অতিমারি করোনার এই সময়ে ঈদ উপলক্ষে অনেক বেশি আনন্দ বা উচ্ছ্বাস প্রকাশের অবকাশ নেই। তাই বড় পরিসরে বা আয়োজন করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে শপিং মলে ভিড় না করারও আহ্বান জানান তিনি। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে এখন অনেক এগিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় অনলাইন বা ই-কমার্স শপিং প্ল্যাটফর্মও আগের থেকে অনেক তৎপর এবং গোছানো। এ জন্যই শপিং মলে না গিয়ে বরং অনলাইন প্ল্যাটফর্মেই নিজেদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সেরে ফেলার তাগিদ দিয়েছেন এই
১ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার্তায় জয়া শিল্প খাতের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জন্য সবাইকে সমব্যথী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
অসংখ্য পরিবার এই শিল্প খাতের সঙ্গে জড়িত। তাই একটি পোশাক কেনা মানে অনেক পরিবারকে সাহায্য করা। তাদের পাশে দাঁড়ানো। এ জন্যই জয়া আহসান বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন অন্তত একটি পোশাক কিনে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি তিনি এবারের শপিংকে আনন্দের নয়; বরং দায়িত্ববোধের শপিং হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
একটি পোশাক তৈরির প্রতিটি পর্যায়েই রয়েছে বিভিন্ন পেশাদার মানুষের সম্পৃক্ততা, গত বছর যাঁদের অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে পেশা বদল করেছেন। এই শিল্প খাত হারিয়েছে দক্ষ শ্রমিক। এবার যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য সবার প্রতি একান্ত অনুরোধও করেছেন তিনি।
এই দুজনের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্থানীয় ফ্যাশনশিল্প খাতের সঙ্গে জড়িত মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন জনপ্রিয় মডেল ও অভিনয়শিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ এবং দেশের মানুষকেও তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানালেন তিনি।